ক্যাম্পাসে সাপের কামড়ে আহত হয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কিলো রোডে এ ঘটনা ঘটে।
আহত শিক্ষার্থী মো. শরীফ হোসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগে চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। ঘটনার পর সহপাঠীরা তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেলে নিয়ে যান। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার জানিয়েছেন- শরীফকে বিষধর কোনো সাপে কামড়ায়নি। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন।
শরীফের সহপাঠী মিরাজুল ইসলাম বলেন, সন্ধ্যা ৬টার দিকে শরীফ ও তিনি এক কিলোতে হেঁটে প্রধান ফটকের দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় উপাচার্যের বাসভবনের ফটক থেকে কিছু পথ অতিক্রম করার পর হঠাৎ করে একটি সাপ শরীফকে কামড় দিয়ে দ্রুত চলে যেতে দেখেন। তৎক্ষণাৎ শরীফকে নিয়ে তিনি প্রথমে মাউন্ট এডোরা হাসপাতালে যান। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীফকে নিয়ে ওসমানী হাসপাতালে যেতে বলেন। পরে তাকে ওসমানীতে নিয়ে যাই।
ডাক্তারের বরাত দিয়ে মিরাজ বলেন, শরীফুলের রক্তপরীক্ষা করা হয়েছে। দুটি ভ্যাক্সিন তার শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন- বিষধর কোনো সাপে কামড়ায়নি তাকে। তাই কোনো সমস্যা হবে না। সেবনের জন্য পাঁচদিনের ওষধু লিখে দিয়েছেন। তাই শরীফুলকে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে এসেছি।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক এবং প্রক্টরকে কল দিলে তাদের সাড়া পাওয়া যায়নি। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে সাপে কামড়ের চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই বলে জানান মেডিকেল প্রশাসক অধ্যাপক কবির হোসেন। তিনি বলেন, আমাদের মেডিকেলে সাপে কাটার কোনো চিকিৎসা ব্যবস্থা নেই। যদি এরকম ঘটে তাহলে আহত ব্যক্তিকে ওসমানী মেডিকেলে পাঠানো হয়ে থাকে।
আহত শরীফুল বলেন, আমাকে সাপে কামড়ানোর পর আধাঘন্টায় আমরা ওসমানী মেডিকেলে যাই। কিন্তু যদি বিষধর সাপে কামড়াতো তাহলে এই আধাঘন্টায় অনেক কিছুই হয়ে যেতে পারতো। তাই আমাদের মেডিকেলে সাপের চিকিৎসা যাতে পাওয়া যায় এমন ব্যবস্থা থাকলে ভালো হয়।
শরীফুলের সহপাঠী জুয়েল সরকার বলেন, ‘আজকে আমাদের বন্ধুকে কোনো বিষধর সাপে কামড় দেয়নি। নয়তো তার অবস্থাও খারাপ হতে পারতো। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে এমনিতেই অনেক বন-জঙ্গল আছে। এছাড়া গত কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সোনালী আবাসিক এলাকায় একটি অজগর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। তাই যে কাউকে যে কোনো সময় বিষধর সাপে কামড়াতে পারে।
শেয়ার করুন