শাল্লা(সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রবীণ সাংবাদিক বসুদেব দাশের মৃত্যুতে শোকসভা পালন করা হয়েছে। ১২সেপ্টেম্বর (সোমবার) দুপুরে উপজেলা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে ‘শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শোকসভা পালন করা হয়।
শোকসভায় শাল্লা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি জয়ন্ত সেনের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সন্দীপন তালুকদার সুজনের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক তরুণ কান্তি দাস। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য প্রবীণ সাংবাদিক বীর মুক্তিযোদ্ধা জগদীশ সরকার। আরো বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অনিল চন্দ্র দাস, দৈনিক সিলেটের ডাকের প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব, প্রেসক্লাবের সাবেক সহ সভাপতি রথীন্দ্র চন্দ্র সরকার, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান মিঠু চন্দ্র চন্দ। প্রবীণ সাংবাদিক বসুদেব দাশের স্মৃতিচারণ করেন তাঁর বড় ছেলে তপন কুমার দাশ।
বক্তারা বলেন বসুদেব দাশ আশির দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত হাওরাঞ্চলের উপজেলা শাল্লায় সাংবাদিকতা পেশায় কর্মরত ছিলেন। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামগঞ্জ জেলা থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক গ্রাম বাংলার কথা পত্রিকায় কাজ করেছেন অত্যন্ত সুনামের সাথে। তাঁর আদর্শ আমাদের অনুপ্রাণিত করে। তখন সংবাদ প্রেরণ করা ছিল খুবই কষ্টস্বাধ্য। তারপরও তিনি একাধিক পত্রিকায় কাজ করেছেন। পাশাপাশি বসুদেব দাশ উপজেলা আ’লীগের প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ে দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে গেছেন। ২০০০ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সাংবাদিক বসুদেব দাশ। শোকসভায় বসুদেব দাশকে প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্যের সম্মাননা দেন প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ। এরপূর্বে বসুদেব দাশের আত্মার শান্তি কামনায় ১মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়। এছাড়াও শোকসভায় প্রেসক্লাবের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, বিগত ৩সেপ্টেম্বর শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিজ বাড়ি বাহাড়া ইউপির হরিপুর গ্রামে বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই মেয়ে নাতি নাতনী সহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান।
শেয়ার করুন