শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ: ছবি তোলায় পুলিশের মারধরের শিকার সাংবাদিক

জাতীয়

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় দুটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় কয়েকজন ছাত্রকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ছবি তুলতে গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। তার নাম খলিলুর রহমান স্টালিন। তিনি ঢাকা মেইলের নিজস্ব প্রতিবেদক।

সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সময় কয়েকজন ছাত্রকে গাড়িতে তোলার ছবি তুলতে গেলে পুলিশের হেনস্তার শিকার হন তিনি। ডিলিট করে দেওয়া হয় তার ফোনে ধারণ করা ভিডিও।

রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ধানমন্ডি-৪ নম্বরের পিবিআই হেডকোয়োর্টারের সামনের সড়কে এই ঘটনা ঘটে।

police-1ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাংবাদিক লতিফ রানা জানান, পুলিশ ব্যুরো ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) সংবাদ সম্মেলন কাভার করতে যাচ্ছিলেন খলিল। ওই সময় পুলিশ কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল। বিষয়টি দেখে খলিল ভিডিও ও ছবি ধারণের চেষ্টা করেন। ওই সময় পেছন থেকে একজন পুলিশ সদস্য কলার ধরে খলিলের আইডি কার্ড ও মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। খলিল নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিলেও ওই পুলিশ সদস্য কোনো কথা না শুনে তাকে গাড়িতে তোলেন। তখন আমি ও চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ইনামুল হক রুপম ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে পুলিশকে বাধা দিয়ে খলিলকে ধরে নিয়ে যাওয়ার কারণ জানতে চাই। একপর্যায়ে পুলিশ সদস্যরা খলিলকে ছেড়ে দিয়ে দ্রুত গাড়ি নিয়ে চলে যান।

সাংবাদিক লতিফ আরও জানান, খলিলকে মারধর করে গাড়িতে তোলার সময় চ্যানেল আইয়ের ক্যামেরাম্যান সেই ভিডিও ধারণ করার জন্য এগিয়ে গেলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। এরপর সাংবাদিক এনামুল হক রুপম পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে মোবাইল ফোনটি নেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক খলিল জানান, সিটি কলেজ ও আইডিয়াল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্র ধরে কিছু ছাত্র দৌড়াচ্ছিলেন। ওই সময় কিছু ছাত্রকে মারধর করে গাড়িতে তুলছিল পুলিশ। ওই সময় তিনি পিবিআইয়ের সংবাদ সম্মেলন শেষ করে বের হচ্ছিলেন। ছাত্রদের মারধর করে গাড়িতে তোলার দৃশ্য দেখে তিনি ছবি ও ভিডিও ধারণ করার চেষ্টা করেন‌‌। কিন্তু কয়েকজন পুলিশ সদস্য তাকে বাধা দেয় এবং মারধর করে। এরপর তারা আইডি কার্ড ও মোবাইল কেড়ে নেয়। সাংবাদিক পরিচয় দিলেও পুলিশ সদস্যরা কথা না শুনে তাকে মারধর করেন এবং ফোনে ধারণ করা ভিডিও ডিলিট করেন।

police-2

সাংবাদিককে মারধরের বিষয়ে জানতে চাইলে ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম হোসেন বলেন, ‘এমন ঘটনা এখনো শুনিনি। ওই এলাকার কোনো পুলিশ সদস্য আমাকে বিষয়টি অবগত করেনি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *