বাংলাদেশের প্রবাসীবহুল সিলেট অঞ্চলের অন্যতম ট্রাভেল এজেন্সি সিপার এয়ার সার্ভিসের কর্ণধার খন্দকার সিপার আহমেদ বলেছেন, দেশের পর্যটন শিল্পের প্রসারের জন্য স্থিতিশীল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি একটি অপরিহার্য বিষয়। বাংলাদেশ বিমান নিউইয়র্কের ফ্লাইট চালু করতে পারলে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীরা নিজের দেশের বিমান পরিবহনে দেশে যাওয়া আসা করতে পারতেন। তিনি বলেন, এয়ারলাইন্স হিসেবে বাংলাদেশ বিমান এখন নিউইয়র্কে ফ্লাইট চালু করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। জেএফকে বিমানবন্দরে স্লট পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে তিনি জেনেছেন বলে জানালেন ভ্রমণ খাতের প্রতিষ্ঠিত এ ব্যবসায়ী।
নিউইয়র্ক সফররত খন্দকার সিপার আহমেদ প্রথম আলো উত্তর আমেরিকাকে দেয়া সাক্ষাতকারে জানালেন প্রবাসীবহুল সিলেট অঞ্চলে ট্রাভেল ব্যবসার সাথে তিনি জড়িয়ে রয়েছেন যৌবনের শুরু থেকে। বিষয়টিকে কখনো ব্যবসা হিসেবে দেখেননি। প্রবাসীদের সেবা দেয়াকে প্রাধান্য দিয়ে তাঁর উদ্যোগেই প্রবাসীদের দেশে যাওয়া আসার পথে সেবামূলক কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে।
১৯৮৯ সালে ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসার মাধ্যমে তিনি ব্যাবসায়িক পরিমণ্ডলে প্রবেশ করেন। ট্রাভেলস ব্যবসায় বিভিন্ন এয়ারলাইন্স এর সাথে যোগাযোগ থাকে এবং বিভিন্ন দেশে যাওয়া আসার সুযোগ থাকে। এজন্যই এই ব্যবসার প্রতি তাঁর দুর্বলতা ছিল বলে তিনি জানান। সিপার আহমেদ দুই ছেলে ও এক মেয়ের জনক। ছেলেরা ব্যবসার সাথে জড়িত। মেয়ে বসবাস করেন নিউইয়র্কের জ্যামাইকা এলাকায়। শীতের শুরুতেই স্ত্রীকে নিয়ে নিউইয়র্কে মেয়ের কাছে এসেছেন বলে জানালেন।
প্রবাসীদের কথা চিন্তা করে বিমানবন্দরে শিপার্স মিট গ্রিট এন্ড অ্যাসিস্ট চালু করার কথা জানালেন। এয়ারপোর্টের মধ্যে কাস্টমস বেল্টে যে লাগেজ থাকে, এগুলো নামানো বা এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় স্থানান্তরকরণে অনেকের ঝামেলায় পড়তে দেখা যায়। সেজন্য এয়ারপোর্টে রিসিভ করা থেকে শুরু করে বোর্ডিং পাস পর্যন্ত সার্ভিস দেয়া হয়ে থাকে।
ট্রাভেল ব্যবসায় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ কীভাবে বৃদ্ধি করা যায় সেই প্রশ্নে তিনি বলেন, “বাংলাদেশে এখন বিনিয়োগের ক্ষেত্র অনেক বড়। সিলেটে এখন বিমান যোগাযোগ আগের তুলনায় অনেক ভালো। কয়েক বছর আগেও এমন ছিল না। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার এমন হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। খন্দকার সিপার আহমেদ বলেন, প্রতিটা সেক্টর থেকে সবাই যদি দেশের কাজ করি, নিজের ফেলে আসা দেশে বিনিয়োগ করি, তাহলে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাবে। প্রথম প্রজন্মের প্রবাসী যারা, তারা যেন পরিবার নিয়ে বছরে একবার স্বদেশ ভ্রমণ করেন এই আহ্বান জানান তিনি। দূর থেকে ফেলে আসা দেশের গল্প করেই নয়, নতুন প্রজন্মের সন্তানদের নিয়ে দেশ ঘুরে আসলে বাংলাদেশের প্রতি বিদেশে জন্ম নেয়া প্রজন্মের যোগসূত্র দৃঢ় হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। খন্দকার সিপার বলেন, বাংলাদেশ থেকে যে হারে মানুষ প্রবাসের পথে পা বাড়িয়েছেন, তাদের পরিবর্তী প্রজন্মকে যদি কিছুটা হলেও বাংলাদেশমুখী করা যায় তবে দেশের মঙ্গল হবে বলে তিনি মনে করেন।
শেয়ার করুন