ঢাকায় একই দিন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমাবেশ ডাকায় রাজনীতির মাঠে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে। দেশের বড় দুই রাজনৈতিক দলের এই সমাবেশ নিয়ে আলোচনা চলছে সব মহলে। পাশাপাশি স্থানে প্রধান বড় দুই দলের এ সমাবেশ ঘিরে রাজধানীবাসীর মনে শঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ সমাবেশ থেকে বিরোধী দল অরাজকতা করতে পারে এ আশঙ্কা থেকে বাড়তি সতর্কতায় থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বিএনপি সমাবেশ করছে নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে। এ সমাবেশ থেকেই সরকার পতনের ‘এক দফা’ ঘোষণা করবে দলটি। পাশাপাশি নিজেদের শক্তির জানান দিতেও প্রস্তুত তারা। সব মিলে ১০ লাখ লোকের জমায়েত দেখাতে চায় ক্ষমতার বাইরে থাকা বড় এ দলটি।
আর বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে শান্তি সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তারাও বিএনপির এক দফার প্রেক্ষাপটে শান্তি সমাবেশকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। জনগণ যে আওয়ামী লীগের সাথে আছে, সমাবেশের উপস্থিতির মধ্য দিয়ে সেটি দেখাতে চায় দলটি।
বড় দুই রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে সকাল থেকে নেতাকর্মী ও সমর্থকদের নিয়ে অসংখ্য গাড়ি ঢোকে রাজধানীতে।
এতে সকালে রাজধানীতে গাড়ির চাপ ছিল স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। সমাবেশের কারণে বিভিন্ন সরকারি অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশের ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে। রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশমুখেও চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশকে তল্লাশি করতে দেখা গেছে।
এদিকে একই সময়ে বড় দুটি রাজনৈতিক দলের সমাবেশের কারণে রাজধানীতে তীব্র যানজট দেখা গেছে। একদিকে তীব্র যানজট, অন্যদিকে তীব্র গরম, এতে বিপাকে পড়েছেন নগরবাসী।
বুধবার (১২ জুলাই) দুপুরে কারওয়ান বাজার, শাহবাগ, শেরাটন হোটেল সংলগ্ন ভিআইপি রোড, কাকরাইল মোড়ে সিগন্যাল জ্যামে দীর্ঘক্ষণ ব্যক্তিগত গাড়ি, সিনএজিচালিত অটোরিকশা, মোটরসাইকেল ও বাস আটকে থাকতে দেখা যায়। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করে পায়ে হেঁটে নিজ নিজ দলের কর্মসূচিতে যোগ দেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে দুই দলের সমাবেশ ঘিরে ঢাকায় নাশকতা হতে পারে, এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকার পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, আজ ঢাকায় বড় দুটি দলের সমাবেশ রয়েছে। এগুলো ঘিরে নাশকতামূলক কার্যক্রম হতে পারে বলে আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য রয়েছে। সে কারণে আমরা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তল্লাশি করছি।
সমাবেশে যোগ দিতে আসা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের অভিযোগ, নেতাকর্মীর মুঠোফোন নিয়ে কললিস্ট-ছবি-মেসেজ দেখার পর তাদের আটক ও হয়রানি করা হচ্ছে।
এদিকে ডিএমপির ঊর্ধ্বতনরা জানিয়েছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে সার্বিক প্রস্তুতি পুলিশের রয়েছে। বিশৃঙ্খলা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
শেয়ার করুন