নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুপক্ষের কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৯ অক্টোবর) বিকালে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে নতুন কমিটির নাম ঘোষণার পরপরই এই ঘটনা ঘটে। তবে তাৎক্ষণিক আহতদের নাম জানা যায়নি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে সভাপতি পদে অসিত সরকার ও সাধারণ সম্পাদক পদে সাদেকুর রহমানের নাম ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল। নতুন কমিটি ঘোষণার পরই পদবঞ্চিত ও সাবেক কমিটির নেতাকর্মীদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাধে। এই সময় ১০ নেতাকর্মী আহত হন। বিক্ষোভের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতাকর্মীদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ ও দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায় কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা সম্মেলনস্থল ত্যাগ করেন।
খালিয়াজুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম বলেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কমিটি জেলার নেতাদের সঙ্গে সমন্বয় না করেই কমিটি ঘোষণা করেন। যে কারণে দলের ত্যাগী নেতাকর্মী বাদ পড়ায় ও একজন ইউনিয়নের নেতাকে দলের এত বড় দায়িত্বশীল পদ দেওয়ায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এই কমিটি কেউ গ্রহণ করেনি।
নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু জানান, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করেই উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির ঘোষণা করায় উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করেন। পরে সম্মেলনস্থলের চেয়ার-টেবিল, মঞ্চ, ভাঙচুর হয়। এ ঘটনার পর আগামী বৃহস্পতিবার জেলার মোহনগঞ্জ ও শুক্রবার বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করেছে নেত্রকোনা জেলা কমিটি।