বাংলাদেশ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ও ১৯৭৩ সালে অনুষ্ঠিত স্বাধীন বাংলার প্রথম নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে তৎকালীন সিলেট-৭ (বর্তমান সিলেট-২) বিশ্বনাথ-দক্ষিণ সুরমা আসনের এমপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খান (৭৭) আর নেই। তিনি ছিলেন ওই সংসদের সর্বকনিষ্ট এমপি।
মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক নূরুল ইসলাম খান মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটের সময় সিলেট নগরের একটি প্রাইভেট হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
বিশ্বনাথ পৌর শহরের শ্রীধরপুর গ্রামের মরহুম মোহাম্মদ ফিরুজ খানের পুত্র অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খান ১৯৪৬ সালের ১৬ জানুয়ারী জন্মগ্রহন করেন।
মঙ্গলবার বাদ আসর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে মরহুমের প্রথম ও বাদ এশা বিশ্বনাথ দারুল উলূম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসায় দ্বিতীয় এবং রাত সাড়ে ৮টায় শ্রীধরপুর গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে তৃতীয় জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরহুমের লাশ দাফন করা হয়।
মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল আতাউল গনি ওসমানীর ঘনিষ্ট সহচর অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খান মৃত্যুকালে স্ত্রী, ২ পুত্র, ২ কন্যা ও নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে গেছেন। তিনি স্বাধীনতা পরবর্তি সময়ে বিশ্বনাথ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত তিনি ছিলেন ওসমানীর হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান।
জানাযার নামাজের পূর্বে সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খানের মরদেহে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলী অর্পন করেন জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরীসহ জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
বিশ্বনাথ দারুল উলূম ইসলামিয়া কামিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাযার নামাজে ইমামতি করেন মরহুমের ভাতিজা ফখরুল ইসলাম খান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা নু’মান আহমদের পরিচালনায় জানাযা নামাজ পূর্ব সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট-২ আসনের সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, বিশ্বনাথ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছয়ফুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা হাবিবুর রহমান, মরহুমের ছোট ভাই এস আই খান, প্রবাসী আলতাফুর রহমান।
বাংলাদেশ জাতীয় জনতা পার্টির চেয়ারম্যান ও প্রথম বিশ্বনাথী এমপি অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম খানের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন বিভিন্ন মহলের নেতৃবৃন্দ।
শোক প্রকাশকারীরা হলেন- সিলেট-২ আসনের এমপি মোকাব্বির খান, সাবেক এমপি শফিকুর রহমান চৌধুরী, ইয়াহ্হিয়া চৌধুরী এহিয়া, সিলেট জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন আহমদ, বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নুুনু মিয়া, সাবেক চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরী, বিশ্বনাথ পৌরসভার মেয়র মহিবুর রহমান, প্যানেল মেয়র-১ রফিক হাসান, দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমির আলী, রামপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর, খাজাঞ্চী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আরশ আলী গণি, উত্তর বিশ্বনাথ আমজদ উল্লাহ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ নেছার আহমদ, বিশ্বনাথ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সিরাজুল হক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার তৈয়ব আলী, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শাহ আসাদুজ্জামান আসাদ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমদ, যুগ্ম সম্পাদক মকদ্দছ আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আজিজ সুমন, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল জলিল জালাল, যুগ্ম আহবায়ক আলতাব হোসেন, মহব্বত আলী জাহান, বিশ্বনাথ প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রহমত আলী, বর্তমান সভপতি তজম্মুল আলী রাজু, সাবেক সভাপতি জাকির হোসেন কয়েছ, মিজানুর রহমান মিজান, রফিকুল ইসলাম জুবায়ের, কাজী মুহাম্মদ জামাল উদ্দিন, বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এমদাদুর রহমান মিলাদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রনঞ্জয় বৈদ্য অপু, বিশ্বনাথ প্রবাসী এডুকেশন ট্রাস্টের সভাপতি মতছির খান, সাধারণ সম্পাদক মিছবাহ উদ্দিন, বিশ্বনাথ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বেগ, সাধারণ সম্পাদক আব্বাস হোসেন ইমরান প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
শেয়ার করুন