আজ সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়া বৈধ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করবে নির্বাচন কমিশন। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী- যেদিন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ হয়, সেদিন থেকেই তারা প্রচারে নামতে পারবেন।
ফলে আজ প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সিলেটে শুরু হবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। এ লক্ষ্যে প্রায় সকল প্রার্থী-ই প্রস্তুতি সম্পন্ন করে রেখেছেন বলে জানা গেছে। আর এর মধ্যদিয়ে সিলেটে বইবে নির্বাচনের মূল উত্তাপ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, সোমবার সিলেট জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা তাঁর কার্যালয়ে প্রতীক বরাদ্দ করবেন। এছাড়া সোমবার জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা (জেলা প্রশাসক) শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত সিলেটের ৬টি আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের সঙ্গে নির্বাচনসংশ্লিষ্টদের মতনিবিনিময় অনুষ্ঠিত হবে।
বিএনপিবিহীন এই নির্বাচনে যাচাই-বাছাই, বাতিল, আপিলে প্রার্থিতা ফিরে পাওয়া ও প্রত্যাহার শেষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেটের ৬টি আসনে চূড়ান্ত লড়াই করতে যাচ্ছেন ৩৬ জন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ছিলো প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন সিলেটের ৬ প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান। তারা হলেন- সিলেট-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ, এ আসনের জাকের পার্টির প্রার্থী আব্দুল হান্নান, একই দলের সিলেট-২ আসনের প্রার্থী মো. ছায়েদ মিয়া, সিলেট-৪ আসনের আলী আকবর ও সিলেট-৫ আসনের তৃণমুল বিএনপির প্রার্থী কয়সর আহমদ কাওছার এবং সিলেট-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফুর রহমান সুহেল।
আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিকারী প্রার্থীরা হলেন- সিলেট-১ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আব্দুল বাছিত, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর প্রার্থী ইউসুফ আহমদ, ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী ফয়জুল হক ও বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল আহমদ চৌধুরী।
সিলেট-২ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান চৌধুরী, গণফোরাম’র প্রার্থী ও বর্তমান এমপি মোকাব্বির খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী ইয়াহইয়া চৌধুরী, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান খান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর প্রার্থী মো. মনোয়ার হোসাইন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মোহাম্মদ আব্দুর রব মো. জহির, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মো. জহির এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. মোশাহিদ আলী।
সিলেট-৩ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি হাবিবুর রহমান হাবিব, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী দুলাল, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোহাম্মদ আতিকুর রহমান আতিক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি)-এর প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আফরোজ, বাংলাদেশ ইসলামি ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী শেখ জাহেদুর রহমান (মাসুম), স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা কফিল আহমদ চৌধুরী এবং ইসলামি ঐক্যাজোটের প্রার্থী মো. মইনুল ইসলাম।
সিলেট-৪ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি ইমরান আহমদ, ইসলামি ঐক্যজোটের প্রার্থী মো. নাজিম উদ্দিন (কামরান) এবং তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী মো. আবুল হোসেন।
সিলেট-৫ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল)-এর প্রার্থী মো. খায়রুল ইসলাম, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী কুতুব উদ্দীন আহমদ শিকদার, স্বতন্ত্র প্রার্থী মাওলানা মোহাম্মদ হুছামুদ্দীন চৌধুরী, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা আহমদ আল কবির, বাংলাদেশ কংগ্রেস’র প্রার্থী মো. বদরুল আলম এবং জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাব্বীর আহমদ।
সিলেট-৬ : আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান এমপি নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা সরওয়ার হোসেন, তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী শমসের মুবিন চৌধুরী, ইসলামি ঐক্যাজোটের প্রার্থী সাদিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির প্রার্থী সেলিম উদ্দিন এবং বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের প্রার্থী আতাউর রহমান।
গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তফসিল অনুযায়ী- ৩০ নভেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ। বাছাই হয় ১-৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি অনুষ্ঠিত হয় ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বর ছিলো মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।
প্রত্যাহার শেষে সিলেটে ভোটের মাঠে চূড়ান্ত লড়াইয়ে রয়েছেন ৩৬ জন।
সোমবার প্রতীক পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ভোটের প্রচারণা চালাতে পারবেন। ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ।
শেয়ার করুন