যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে সিলেটে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের নামাজে ঢল নেমেছে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঢল। সিলেটে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতরের প্রধান জামাত নগরীর ঐতিহাসিক শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
শাহী ঈদগাহে ঈদের নামাজে ইমামতি করেন বন্দরবাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা আবু হুরায়রা। নামাজ পূর্বে বয়ান পেশ করেন নাইওরপুল জামে মসজিদের খতিব মাওলানা নাজিম উদ্দীন কাশেমি।
নামাজ আদায়ের জন্য নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে ভোরে জায়নামাজ হাতে শাহী ঈদগাহ মাঠে ভিড় করেন মুসল্লিরা। শিশু থেকে বৃদ্ধ বিভিন্ন বয়সের মুসল্লিদের আগমনে কানায় কানায় পূর্ণ ছিল শাহী ঈদগাহ মাঠ। ঈদের নামাজ আদায় শেষে দেশ-জাতির মঙ্গল কামনায় মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা হয়। নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা কোলাকুলির পাশাপাশি একে অপরের সাথে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
এদিকে সিলেট মহানগরীতে এবার মোট ৪৩৭টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ৩৪৭টি মসজিদে ও ৯০টি ঈদগাহে হবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও সিলেট জেলায় মোট ২ হাজার ৫৮৬টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়। মসজিদে ২ হাজার ২৩৯টি ও ঈদগাহে ৪৪৭টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এরমধ্যে হযরত শাহজালাল (র.) দরগা জামে মসজিদ, হযরত শাহপরাণ (র.) মাজার জামে মসজিদ, সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠ, নগরীর বন্দর বাজারস্থ কালেক্টরেট জামে মসজিদ, জজ কোর্ট জামে মসজিদ, নগরীর কালীঘাট নবাবী জামে মসজিদ, টুকের বাজার শাহী ঈদগাহ ও আখালিয়া নবাবী জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
এছাড়াও হাজী কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা, সাড়ে ৮টা ও সাড়ে ৯টায় পৃথক ৩টি ঈদ জামাত, দক্ষিণ সুরমার ঐতিহাসিক সিলাম শাহী ঈদগাহ ময়দানে সকাল ৭টায় ও সকাল ৮টায় দুটি পৃথক ঈদ জামাত, লাউয়াই-পিরোজপুর শাহী ঈদগাহ মাঠে সকাল ৮টায় ও পৌণে নয়টায় ও সকাল ৯টায় নগরীর খোজারখলা মারকাজ মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
শেয়ার করুন