সিলেটে উলামা মাশায়েখ পরিষদের সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল সম্পন্ন

সিলেট

রাসুলুল্লাহ (সা.) মানবজাতির জন্য মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাবোধের অনন্য আদর্শ রেখে গিয়েছেন: মুহাদ্দিস মাহমূদুল হাসান

মিসবাহুল উলূম কামিল মাদরাসা মতিঝিল, ঢাকার প্রধান মুহাদ্দিস ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব শায়খ মাহমূদুল হাসান বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) মানবজাতির জন্য মনুষ্যত্ব ও মানবিকতাবোধের অনন্য আদর্শ রেখে গিয়েছেন। নারী, শ্রমিকদের অধিকার প্রতিষ্ঠা, দাস প্রথা নিরসন, সাম্য প্রতিষ্ঠায় নীতিমালা প্রণয়ন করে তার বাস্তব নজির স্থাপন করেছেন। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) উন্নত নৈতিক চরিত্রে আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার জন্যই প্রেরিত হয়েছিলেন। জাহিলিয়াত থেকে হেদায়াতের আলোয় আলোকিত করে পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ মানুষ তিনি তৈরী করতে সক্ষম হয়েছিলেন। যাদের সাথে কিয়ামত পর্যন্ত আসা মানুষদের কোনো তুলনা হয় না। তিনি আরও বলেছেন, আল্লাহর রাসুলের (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণের মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও মুক্তি নিহিত।

তিনি শুক্রবার উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেট আয়োজিত সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া কামিল মাদরাসা পাঠানটুলা, সিলেটের শায়খুল হাদীস ইসহাক আল মাদানী ও উলামা মাশায়েখ পরিষদ সিলেটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দীর সভাপতিত্বে এবং পরিষদের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা মুহাম্মাদ অলিউর রহমান সিরাজী ও সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুর রহমান দিলাওয়ারের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পরিষদের উপদেষ্টা মাওলানা সোহেল আহমদ, বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন মাওলানা আব্দুল মতীন চৌধুরী শাহবাগী ও বাংলাদেশ মাজলিসুল মুফাসসিরীনের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী। বিষয় ভিত্তিক আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আলেমেদ্বীন হাফিজ মাওলানা মাহবুবুর রহমান জালালাবাদী, মুহাদ্দিস মাওলানা হাবীবুল্লাহ, মাওলানা মাশুক আহমদ ও মাওলানা শরীফ মাহমুদ। শুরুতে কুরআন তিলাওয়াত করেন ক্বারী মাওলানা আব্দুল হাই। নাতে রাসুল (সা.) পরিবেশন করেন দিশারী শিল্পী গোষ্ঠীর শিল্পীবৃন্দ। উপস্থিত ছিলেন মুফতি আলী হায়দার, অধ্যক্ষ মাওলানা ফখরুল ইসলাম, মাওলানা এহসান উদ্দীন, মাওলানা আব্দুশ শহীদ, মাওলানা মখছুছুল করীম চৌধুরী, মাওলানা মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী, মাওলানা শাহ মাহমুদুল হক, মাওলানা আসাদুর রহমান, মাওলানা আব্দুল ওয়াহিদ, মাওলানা শওকত আলী, হাফিজ মাওলানা মুখলিসুর রহমান, হাফিজ আব্দুল আহাদ, হাফিজ মাওলানা হাফিজুর রহমান ও আবু জুবায়ের প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে শায়খুল হাদীস মাওলানা ইসহাক আল মাদানী বলেন, মুসলিম উম্মাহকে কথা ও কাজে রাসুলুল্লাহ (সা.) অনুসৃতি গ্রহণ করতে হবে। কুরআন, হাদীস-সুন্নাহ’র আদর্শে দীক্ষিত হয়ে জীবন পরিচালনার চেষ্টা করতে হবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মাওলানা সোহেল আহমদ বলেন, অনুকূল কিংবা প্রতিকূল যেকোনো পরিস্থিতিতে কিভাবে দ্বীনের পথে অবিচল থাকা যায়, রাসুলুল্লাহ (সা.) তা শিখিয়ে গিয়েছেন। বাধার পাহাড় ডিঙিয়ে সত্যের উপর অটল থাকার দীক্ষা দিয়েছেন। অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুস সালাম মাদানী বলেন, সকল প্রকার জুলুম, স্বেচ্ছাচারিতা ও অবক্ষয়ের মূলোৎপাটন করে মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে ন্যায়বিচার ও ইনসাফ কায়েম করাই রাসুলের (সা.) মিশন ছিলো। মাওলানা আব্দুল মতীন চৌধুরী শাহবাগী বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) এর পারিবারিক জীবন ছিলো সাফল্যমণ্ডিত ও বৈচিত্র্যময়; পরিবারের সবার অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি পূর্ণমাত্রায় চেষ্টা করেছেন। সবাইকে আদর্শের মানদণ্ডে উন্নীত হওয়ার শিক্ষা দিয়েছেন। উদ্বোধনী বক্তব্যে অধ্যক্ষ মাওলানা লুৎফুর রহমান হুমায়দী বলেন, চরম প্রতিকূল পরিবেশে ধৈর্য্য ও সাহসীকতা, অদম্য স্পৃহা, কর্মতৎপরতা ও নিরলস প্রচেষ্টায় তিনি আল্লাহর বিধানকে বিজয়ী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *