সিলেটে এক সপ্তাহ সড়কে ৭ জনের প্রাণহানি

সিলেট

সিলেটে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটছে।এতে প্রাণহানির পাশাপশি কেউ কেউ আহত হচ্ছেন।সাম্প্রতিক সময়ে বেশিরভাগ দুর্ঘটনা ঘটছে দুই চাক্কার যানবাহন মোটরসাইকেলে।গত ৭দিনে শুধু সিলেট জেলার মধ্যে সড়কে প্রাণ হারিয়েছেন ৭জন।তারমধ্যে মোটরসাইকলে আরোহী হলেন চারজন এবং দুজন বাস চাপায় ও একজন ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে।

জানা যায়, শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে সিলেট-ভোলাগঞ্জ বঙ্গবন্ধু মহাসড়কের সালুটিকরের পার্শ্ববর্তী ১০ নম্বর এলাকায়  দাঁড়িয়ে থাকা ট্রাকে ধাক্কা লেগে মোটরসাইকেল আরোহী ইউপি চেয়ারম্যান ও ছাত্রদল নেতা নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন সিলেট সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ওবায়দুল্লাহ ইসহাক এবং সিলেট জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও নগরের স্টেডিয়াম মার্কেটের ব্যবসায়ী এম. হাফিজুর রশীদ।

ওবায়দুল্লাহ ইসহাক সিলেট মহানগরীর দরগা মহল্লা পায়রা ১০৮ ও হাফিজুর রশীদ পায়রা ৮৫ নম্বর বাসায় বসবাস করতেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার রাতে মোটরসাইকেলযোগে কোম্পানীগঞ্জ যাচ্ছিলেন চেয়ারম্যান ইসহাক ও তার সঙ্গীয় হাফিজুর। সালুটিকর বাজারের পার্শ্ববর্তী ১০ নাম্বার এলাকায় সিগন্যাল লাইটবিহীন দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের পেছনে মোটরসাইকেলটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইসহাক ও হাফিজুর মারা যান।

১৫ সেপ্টেম্বর : ১৫ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) বিকাল ৫টার দিকে জকিগঞ্জ উপজেলার শাহবাগের মহিদপুর এলাকার ব্রীজের পাশে বাসের ধাক্কায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- কানাইঘাটের সুতারগাও এলাকার বাসিন্দা ও কানাইঘাট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হোসেন আহমদের ছেলে মেহদি (৩০) এবং একই এলাকার সৌদি প্রবাসী বুলবুল মিয়ার ছেলে রাহাদ (২৯)। তরা সম্পর্কে চাচাতে ভাই।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ।

ঘাতক বাসটি বিয়ানীবাজার থানার চারখাই ক্যাম্প কর্তৃক জনতার সহযোগিতায় আটক করা হয়। চালক পলাতক রয়েছে।

জকিগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) দিলীপ কান্ত নাথ জানান, শুক্রবার বিকালের দিকে জকিগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসের ধাক্কায় দুই মটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

১০ সেপ্টেম্বর: রোববার (১০ সেপ্টেম্বর)  রাত ৮টার দিকে সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার তাজপুরে রাস্তা পারাপারকালে প্রাইভেটকার চাপায় মা ও ছেলের মৃত্যু হয়।

নিহতরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার কামালবাজার এলাকার শুক্কুর আলীর স্ত্রী সালাম বেগম (৫২) ও তার ছেলে আব্দুল কাইয়ুম (৩২)। তারা তাজপুর বার্ড চক্ষু হাসপাতালের পাশে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

খবর পেয়ে তাজপুর ফায়ার সার্ভিসের লোকজন মা-ছেলের মরদেহ উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসমানীনগর থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মাসুদুল আমিন।

একইদিন রাতে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের চারখাই এলাকায় ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে ফখরুল ইসলাম (৪৫) নামে ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

নিহত ফখরুল সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার রাজাগঞ্জ ইউনিয়নের পারকুল বড়বাড়ির মৃত রইছ মিয়ার ছেলে। তিনি রাজাগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন।

জানা গেছে, ফখরুল ইসলাম কানাইঘাট থেকে সিএনজি অটোরিকশাযোগে সিলেট শহরে আসছিলেন। রাত ৮টার দিকে অটোরিকশাটি সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের চারখাই বাজার এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে গুরুতর আহত হন ফখরুলসহ তিনজন।

আহতদের উদ্ধার করে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে ফখরুল ইসলাম মারা যান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *