সিলেট আবহাওয়া অফিস সূত্র জানায়, গত প্রায় এক সপ্তাহ সিলেট সূর্যতাপে পুড়ছিল। প্রতিদিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল তাপমাত্রা। ফলে জনজীবনে প্রবল অস্বস্তি নেমে আসে। খেটেখাওয়া মানুষেরা পড়েন সবচেয়ে বেশি বিপাকে। তীব্র রোদের কারণে ঘরের বাইরে বেরোনো হয়ে পড়ে দায়।
আবহাওয়া অফিস জানায়, ৭ জুলাই থেকে সিলেটে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়তে থাকে। ৭ থেকে ৯ জুলাই প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর ১০ জুলাই ৩৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি, ১১ জুলাই ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি, ১২ জুলাই ৩৬ দশমিক ৪ ডিগ্রি ও ১৩ জুলাই ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এরপর গত বৃহস্পতিবার প্রায় ৬৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় সিলেটে। সেদিন তাপমাত্রার পারদ চড়েছিল ৩৮ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
আবহাওয়বিদরা বলছেন, বর্তমানে দেশের ওপর দিয়ে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে এবং বাতাসে আর্দ্রতা আছে। ফলে গরম বেশি অনুভূত হচ্ছে।
এদিকে, তাপমাত্রার রেকর্ড ভাঙার খেলায় সিলেটের মানুষের মধ্যে দেখা দেয় আতঙ্ক। তবে গতকাল শুক্রবার থেকে কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। আগের দিনের চেয়ে কাল তাপমাত্রা কমে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৩৬ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস)।
আজ শনিবারও তাপমাত্রা কমতির দিকে আছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘শুক্রবার দিনগত রাত থেকে আজ শনিবার সকাল ৬টার মধ্যে সিলেটে ১৫ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে
তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের চেয়ে শুক্রবার তাপমাত্রা কমেছে। এই কমার ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে কয়েকদিন। কালকের চেয়ে আজ খানিকটা কমছে তাপমাত্রা।’
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, ‘আজ রাতেও বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। কাল থেকে বৃষ্টির বেগ বাড়বে। মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আগামী ছয়-সাতদিন বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে সিলেটের আকাশে।’