আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সিলেট নগরের একাধিকস্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় অন্তত ২ জন আহত হয়েছেন। তাছাড়া তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও আগুন ছাড়াও একটি প্রাইভেটকারও ভাংচুর করা হয়েছে।
সোমবার (২০ মে) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষ ঘটে। এসময় নগরের দাড়িয়াপাড়া, হাউজিং এস্টেট ও সুবিধবাজার এলাকায় সংঘর্ষ হয়।
সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ এবং মহানগরের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। তবে তারা দুই জনই দাবি করেছেন, ‘এটি কোনো দলীয় বা গ্রুপের সংঘর্ষ নয়। দলের জুনিয়রদের নিজেদের মধ্যে এটি ঘটছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মঈন উদ্দিন সিপন বলেন, খবর পেয়েই পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
দুই জন আহত ও তিনটি মোটরসাইকেল পুড়ানো হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তাৎক্ষণিকভাবে তাদের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।’
এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ঘটনার একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী ও ছাত্রলীগ কয়েকজন নেতা জানান, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ গ্রুপ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ গ্রুপের কয়েকজন নেতাকর্মীর মধ্যে উত্তেজনা চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার রাত ৮টার দিকে সুবিদবাজার এলাকায় ফের দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। নগরের আম্বরখানা হাউজিং এস্টেট ২ নম্বর রোডে মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ গ্রুপের কয়েকজন কর্মী-সমর্থক জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ গ্রুপের কর্মী ইসফাক নূরের গাড়িতে (ঢাকা মেট্রো গ-১৫-৮৯৮০) হামলা চালায়। এ সময় দুপক্ষের মাঝে সংঘর্ষ বাধে। পরে সেটি জিন্দাবাজার এলাকার দাড়িয়াপাড়া পর্যন্ত চলে আসে। সেখানে ৩টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
ছাত্রলীগের সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ ও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ দুজনই ঢাকায় অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে দুজনেই দাবি করে বলেন, ‘এটি কোনো দলীয় কোন্দল নয়। জুনিয়রদের মধ্যে ব্যক্তিগত সমস্যা থেকে সংঘর্ষ হয়েছে বলে খবর পেয়েছি। তবে তাতে দল, গ্রুপ বা আধিপত্যের কোনো বিষয় নয়।’
তারা দুজন জানান, ’জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক চারজনই পূর্ণাঙ্গ কমিটির জন্য ঢাকায় অবস্থান করছেন। তারা বিষয়টি শুনে সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে পাঠিয়েছেন। কেন, কী কারণে মারামারি করছে জুনিয়ররা সেটি এখনো জানতে পারেননি।’
শেয়ার করুন