সিলেটে পয়েন্টে পয়েন্টে কুড়ানো মাংস বিক্রির হাট!

সিলেট

সিলেট নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে বসেছে কোরবানি ঈদের গরুর মাংস বিক্রির হাট।সমাজের অসহায় হতদরিদ্ররা এ হাটের বিক্রেতা। আর ক্রেতারা হলেন মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত অনেক পরিবারের মানুষও। যারা কোরবানি দিতে পারেননি।

প্রত্যেক কোরবানির ঈদের দিন সিলেট নগরীর আম্বরখানা, দর্শন দেউরি, জিন্দাবাজার, বন্দর, চাঁদনীঘাট, জিতু মিয়ার পয়েন্ট, সুবিদবাজার, জেলরোড, সুরমা পয়েন্ট, হাউজিং স্টেইট গলির ভেতর, জালালাবাদ আবাসিক এলাকার মুখ, আম্বরখানা মোড়, দরগামহল্লা বিভিন্ন মোড়ে পলিথিনের প্যাকেটে কিংবা খোলা অবস্থায় ভাগ করে পেপারের ওপর মাংসের পসরা সাজিয়ে বিক্রি করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২৯জুন) ঈদুল আযহার দিন এমন দৃশ্য দেখা যায় সিলেট নগরীতে।

মাংস বিক্রেতারা বৃহস্পতিবার সারাদিন সিলেট নগরের বিভিন্ন বাসা-বাড়ি থেকে মাংস সংগ্রহ করেন। বিক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন একদিনের কসাই, যারা কোরবানির পশু কেটেকুটে বকশিস হিসেবে মাংস পেয়েছেন। আবার অনেকেই সচ্ছল আত্মীয়-স্বজনদের কাছে পাওয়া মাংস টাকার প্রয়োজনে বিক্রি করেছেন। এই ভ্রাম্যমাণ মাংসের হাটের ক্রেতারা কম দামে মাংস কিনতে পেরে বেশ খুশি।

বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা যায়, পাড়া-মহল্লা, বাজার, ফুটপাত জুড়ে যে যেখানে সুযোগ পেয়েছেন, সেখানেই বসে গেছেন মাংস নিয়ে। তবে পেশাদার কোনো মাংস ব্যবসায়ী এ হাট বসাননি। মৌসুমি কসাই, দিনমজুর, দুস্থ্, ভিক্ষুক-গরিব, শিশু যারাই কিছু মাংস জোগাড় করতে পেরেছেন, তা নিয়েই বসে গেছেন বিক্রি করতে। যারা আজকের দিনে শ্রম বিক্রি করেছেন, কোরবানিদাতাদের কাছ থেকে মাংস পেয়েছেন, তারাই এ মাংসের হাট বসিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ক্রেতা জানান, তারা কোরবানি দিতে পারিনি। এছাড়া যারা কোরবানি দেন তারা ঈদের দিন বাসা-বাড়িতে গিয়ে কাউকে কোরবানির মাংস দেন না। শুধু যারা বাসা-বাড়িতে গিয়ে হাত পেতে মাংস চায় কেবল তাদের কয়েক টুকরো মাংস দেয়া হয়। এমন পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে গিয়ে মাংস আনা সম্ভব না। তবে এখানে কম দামে মাংস ক্রয় করতে পেরে ভালো লাগছে।

তারা বলেন, এখানে কে বিত্তশালী কে গরীব তা দেখা হয় না।যে যেভাবে বিক্রেতাদের বুঝিয়ে কেজি ধরে কিনছেন।অনেক মানুষের কোরবানি দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। আবার ইচ্ছে থাকার পর নানা কারণে অনেক মানুষ কোরবানির পশু কিনতে পারেন না। এছাড়া শহরের ছোট ছোট হোটেল মালিক রয়েছেন। এসব ব্যক্তিরাই এ হাট থেকে মাংস কেনেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *