সিলেট নগর থেকে হয়েছে মহানগর। বেড়েছে আয়তন, বাড়ছেন মানুষ। একই সাথে বাড়ছে যানজট। কিন্তু বাড়ছে না সড়ক। অথচ মহানগরের রাস্তায় প্রতিনিয়তই বাড়ছে গাড়ির চাপ।
সিলেট মহানগরে যানজট সামলাতে হিমশিম খেতে হয় প্রশাসনকে। আর এসব যানজটের একটি বড় কারণ- যত্রতত্র রাস্তায় গাড়ি পার্কিং।
সিলেট মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে রয়েছে সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ। এগুলোর সামনে রাস্তায় সারি বেঁধে ব্যক্তিগত গাড়ি রাখায় বাড়ছে যানজট। এসব স্কুল-কলেজ শুরু ও ছুটির সময় এই অবস্থা চরমে পৌঁছে। সড়কে যান চলাচল প্রায় বন্ধই হয়ে যায়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী ও পথচারীরা। এসব অবৈধ পার্কিং রোধে পুলিশের পক্ষ থেকে নেই কোনে পদক্ষেপ। উদ্যোগ নেই এসব স্কুল-কলেজ কর্তৃপক্ষেরও। যেন অভিভাবকহীন এক মহানগর।
অপরদিকে, এই অব্যবস্থাপনা নিয়ে রয়েছে পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের মাঝে ঠেলাঠেলি। তাদের এই ঠেলাঠিলেত ভোগান্তি পোহাচ্ছেন সাধারণ মানুষ।
মহানগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়- রাস্তার পাশ ঘেষে গড়ে উঠেছে অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এর মধ্যে রয়েছে মদিনা মার্কেট এলাকায় বিদ্যা নিকেতন, পাঠানটুলায় স্কলার্স হোম, সুবিদবাজারে আনন্দ নিকেতন, জিন্দাবাজারে অগ্রগামী, মিরাবাজারে শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল এন্ড কলেজ, শিবগঞ্জে গ্রিনহিল স্টেট কলেজ ও শাহী ঈদগাহে স্কলার্স হোম। কিন্তু এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই নিজস্ব পার্কিং ব্যবস্থা।
ভুক্তভোগিরা জানান, এসব স্কুল-কলেজের সামনে রাস্তায় সারি বেঁধে দীর্ঘ কয়েক কিলোমিটারজুড়ে গাড়ি রেখে দেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। এসব অভিজাত স্কুল-কলেজের বেশিরভাগ শিক্ষার্থী নিজের ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে আসেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলে রাস্তায় গাড়ি রেখেই অপেক্ষায় থাকেন ড্রাইভার। আর এতে এসব এলাকার রাস্তায় প্রতিনিয় লেগে থাকে যানজট। বিশেষ করে ছুটির সময়ে সে যানজট দীর্ঘ হয় কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত।
কয়েকজন পথচারী অভিযোগ করে বলেন- এমনিতেই এসব রাস্তা ছোট, তার উপর এসব গাড়ি পার্কিংয়ের কারণে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বিভিন্ন রাস্তায় যানজট লেগেই থাকে। স্কুলগুলোর সামনে অবৈধ পার্কিং থাকলেও ট্রাফিক পুলিশকে কখনও পদক্ষেপ নিতে দেখিনি।
এ ব্যপারে আনন্দ নিকেতন স্কুল এবং স্কলার্স হোম স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
স্কুলের সামনে যত্রতত্র গাড়ি রাখায় সড়কে যানজট তীব্র হচ্ছে বলে স্বীকার করে সিলেটর বিদায়ী উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) ফয়সাল মাহমুদ সিলেটভিউ-কে জানান, মহানগরে পার্কিং ব্যবস্থা করে দেয়ার দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের। সিটি করপোরেশনের নির্ধরিত স্থানে পার্কিং করে দিবে আর সেই স্থানের গাড়ি রাখবেন লোকজন। তখন যদি কেউ সেই পার্কিং ব্যবহার না করে তখন ট্রফিক পুলিশ ব্যবস্থা নিবে।
এ বিষয়ে কথা বলতে সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
শেয়ার করুন