জেলা পরিষদ নির্বাচনে সিলেট বিভাগের নবনির্বাচিত ৪ চেয়ারম্যানরা আগামী সোমবার (১৪ নভেম্বর) শপথ নিচ্ছেন। এদিন দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তাদের শপথ বাক্য পাঠ করাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই দিন এ বিভাগের সদস্য পদে বিজয়ীদের শপথ পাঠ করাবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব এস এম নজরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে- মূল শপথ অনুষ্ঠান স্থলে নির্বাচিত সকল চেয়ারম্যান ও সদস্যরা কোন প্রকার ইলেকট্রনিক ডিভাইস, কিংবা মোবাইল ফোন নিয় ঢুকতে পারবেনা। তাদের প্রত্যেকেরই করোনা পরীক্ষা দিয়ে শপথ পাঠ অনুষ্ঠানে যেতে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
জানা যায়- সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন খান। অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় সমর্থিত প্রার্থী। এ জেলা তিনি ছাড়া শিক্ষাবিদ ড. এনামুল হক সর্দার মনোনয়ন সংগ্রহ করলেও তিনি মনোনয়নপত্র জমা দেননি। ফলে বিনা ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
নাসির উদ্দিন খানের মতো মৌলভীবাজার জেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মিছবাহুর রহমান। তিনি এরআগে জেলা পরিষদের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থিত প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন।
তবে সুনামগঞ্জে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন নুরুল হুদা মুকুট। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা গেলবারের মতো এবারও দলীয় বিদ্রোহী হয়ে জয়লাভ করেন। তিনি মাত্র ৮ ভোট বেশি পেয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয়বারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। মোটরসাইকেল প্রতীকে মুকুটের প্রাপ্ত ভোট ৬১২ ভোট। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থিত প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খায়রুল কবির রুমেন (ঘোড়া) প্রতীকে পেয়েছিলেন ৬০৪ ভোট।
হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পুনরায় বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী। তিনি ঘোড়া প্রতীকে ৯৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেলা জাতীয় পার্টির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোল্লা আবু নঈম মো. শিবলী খায়ের আনারস প্রতীকে পেয়েছিলেন ৭৭ ভোট। এছাড়াও অপর প্রার্থী কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ হবিগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল হক চশমা প্রতীক নিয়ে ভোট পেয়েছেন ৪৩টি।
উল্লেখ্য- গত ১৭ অক্টোবর সারাদেশের ৫৯ টি জেলা পরিষদে ভোটগ্রহণ হয়।
শেয়ার করুন