সিলেট জেলা পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থী আ.লীগ নেতা এড. আব্দুল আহাদ বাবলু

সিলেট

রাসেল আহমদ,(গোলাপগঞ্জ প্রতিনিধি):

আগামী ১৭ অক্টোবর দেশের ৬১টি জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) মঙ্গলবার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছেন। তার ধারাবাহিকতায় সিলেটে ও শুরু হতে যাচ্ছে জেলা পরিষদের নির্বাচন। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ সময় ১৫ সেপ্টেম্বর। ইতিমধ্যে সদস্য ফরম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। মনোনয়নপত্র বাছাই ১৮ সেপ্টেম্বর, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় ২৫ সেপ্টেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ ২৬ সেপ্টেম্বর। নির্বাচন কে কেন্দ্র করে অনেকেই প্রার্থী হওয়ার সুর শোনা যাচ্ছে। তবে উন্নয়ন বা মাঠে কোনো প্রার্থীকে দেখা যাচ্ছে না।

মানুষের কল্যানে মাঠে সরব দেখা যাচ্ছে গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবলু কে। গোলাপগঞ্জ উপজেলার সাধারণ মানুষের ভোট না থাকলে ও ভোটার সহ স্থানীয় সকলের ইচ্ছে আব্দুল আহাদ বাবলু কে যেন সিলেট জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।

নির্বাচনকে সামনে রেখে কয়েকজন ভোটারের সাথে আলাপ করলে তারা প্রতিবেদককে জানান, এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবলু ছাত্র রাজনীতি থেকে গোলাপগঞ্জবাসীর কল্যানে কাজ করে আসছেন। উপজেলাবাসীর প্রিয়দের তালিকায় স্থান করছেন নিজ কর্মদক্ষ এবং মানুষের সেবার মাধ্যমে। দুই ধাপে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন মানবতার ফেলীওয়ালা হয়ে। এই উপজেলার সাধারণ মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। আমরা চাই যোগ্য মানুষ যেন এই জায়গায় যায়। তার জন্য এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবলু সবার দিক থেকে উত্তম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পরিষদে সম্ভাব্য পদপ্রার্থী, গোলাপগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল আহাদ বাবলু বলেন, ১৯৯২ সাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগকে সু-সংঘটিত করতে উপজেলার প্রতিটি গ্রাম ঘুরে ঘুরে কর্মী সংগ্রহ করেছি। ১৯৯৪ সালে সদ্য এসএসসি পাস করে কলেজে ভর্তি হতেই বিএনপি জামাত দলের ষড়যন্ত্রে মামলার আসামী হই। ছাত্রলীগ করা কালীন সময়ে বিএনপি জামাত চক্রের সন্ত্রাসী বাহিনীর হামলায় গোলাপগঞ্জের রাজপথ আমার রক্তে রঞ্জিত হয়েছে। বার বার তাদের ষড়যন্ত্রে কারাবরণ করতে হয়েছে। তৎকালীন ১/১১ সরকারের সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রেফতারের প্রতিবাদ করতে গিয়েও আমাকে কারাভোগ করতে হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, মানুষের জন্য কাজ করতে নির্বাচিত প্রতিনিধি হওয়ার প্রয়োজন নেই। তবে পদপদবীর মাধ্যমে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ সুবিধা বেশী পাওয়া যায়। জেলা পরিষদ নির্বাচনের বিষয়ে আমার শুভাকাঙ্ক্ষীগন ফোন করে, দেখা করে এবং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহ দিয়ে যাচ্ছেন। আমার আদর্শিক নেতাসহ অন্যান্যদের সাথে আলাপ আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহন করব ইনশাআল্লাহ। তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *