বিজয়ের মাস ঘিরে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত দলীয় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। পাশাপাশি ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজার জিয়ারতের পর জনসভার মধ্য দিয়ে দলের নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গতকাল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথ সভায় তিনি এসব কথা জানান। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে এ যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কাদের বলেন, ১৪ ডিসেম্বর বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা করবে আওয়ামী লীগ। এতে সভাপতিত্ব করবেন দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে সাভারের স্মৃতিসৌধে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হবে। ১৭ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এখানেও সভাপতিত্ব করবেন সভানেত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ১৮ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন থেকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বর পর্যন্ত বিজয় র্যালি করবে আওয়ামী লীগ।
বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে আওয়ামী লীগকে সমাবেশের অনুমতি না দিয়ে বিএনপিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের নির্বাচন কমিশন (ইসি)-কে উদ্দেশ করে বলেন, আমরা নির্বাচন নির্বাচন করছি তারপরও আমাদের অনুমতি না দিয়ে যারা নির্বাচন বানচাল করতে চায় তাদের অনুমতি দেওয়া হলো। এটা কি ন্যায়বিচার করা হলো?
আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীদের উদ্দেশে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আপনাদের নির্বাচনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে মল্লযুদ্ধ করা যাবে না। প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে প্রতিযোগিতা করবেন। সন্ত্রাস, বিশৃঙ্খলাকে উৎসাহিত করে এমন কাজ করলে ছাড় দেওয়া হবে না। নির্বাচন নিয়ে কোনো বদনামের ভাগীদার হতে চায় না আওয়ামী লীগ। মনোনয়নবঞ্চিতদের সভানেত্রী শেখ হাসিনা সময়মতো মূল্যায়ন করবেন। ভালো নির্বাচন করে আমরা বিশ্বকে দেখিয়ে দিতে চাই।