স্থিতিশীল দেশের চালের বাজার, দাম কমার ইঙ্গিত

জাতীয়

স্থিতিশীল রয়েছে দেশের চালের বাজার। তবে দাম কমার ইঙ্গিত দিলেন চালকল মালিকরা। তারা বলছেন, বর্তমানে অসাধু ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য না থাকায় এই ইতিবাচক প্রভাব। তাছাড়া, বাজারে উঠতে শুরু করেছে নতুন ধান।

জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে অস্থির ছিল চালের বাজার। দেশের অন্যতম বড় মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগরে কেজিতে বাড়ে দুই থেকে তিন টাকা। তবে এ মাসে নতুন করে বাড়েনি দাম। বরং কমার ইঙ্গিত খুচরা বিক্রেতাদের।

বিক্রেতারা বলেন, বর্তমানে চালের বাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত ভালো। বিশেষ করে গত ১৫দিন যাবত আমরা স্থিতিশীল অবস্থায় পাচ্ছি। এক সপ্তাহের ভেতর কিছুটা কমতে পারে। ২-১ টাকা কমতে পারে এরকম আশঙ্কাই বেশি।

প্রায় একই পরিস্থিতি দিনাজপুরে। সেখানে বেড়েছে মোটা চালের চাহিদা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি চালু হলে আরও সুফল পাবে মানুষ।

ব্যবসায়ীরা বলেন, টিসিভি এবং ও.এম.এস বন্ধ থাকার কারণে সাধারণ মানুষের কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

নওগাঁয় কিছুটা কমেছে মাঝারি চালের দাম। কেজিতে দুই টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ৬৮ টাকায়। মোট চালের দাম স্থিতিশীল থাকলেও বাজারে তেমন দেখা নেই ক্রেতার।

বিক্রেতারা বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর নতুন করে বাড়েনি দাম। আর চালকল মালিকদের দাবি, বাজারে নতুন ধান আসতে শুরু করায় ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে।

কুষ্টিয়ার দেশ অ্যাগ্রো ফুডের স্বত্ত্বাধিকার এম এ খালেক বলেন, চাষি ভাইয়েরা ইতিমধ্যে বাজারে ধান ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে ধানের দাম কিছুটা কমেছে- তারই ফলশ্রুতিতে চালের বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।

বছরজুড়ে চালের দাম সাধারণের নাগালে রাখতে নিয়মিত তদারকির আহ্বান ভোক্তাদের।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *