দেশে বেকারের সংখ্যা কমেছে। বর্তমানে ২৬ লাখ ৩০ হাজার বেকার আছেন।
শ্রমশক্তি জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। এর আগে ২০১৭ সালের জরিপে বেকারের সংখ্যা ছিল ২৭ লাখ। ৬ বছরের ব্যবধানে বেকারের সংখ্যা ৭০ হাজার কমেছে।
বুধবার ঢাকার আগারগাঁওয়ের পরিসংখ্যান ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ জরিপের প্রাথমিক ফলাফল প্রকাশ করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান।
জরিপের প্রাপ্ত তথ্যমতে, এখন বেকারত্ব কমে ৩ দশমিক ৬ শতাংশ হয়েছে। ২০১৭ সালে বেকারত্ব ছিল ৪ দশমিক ২ শতাংশ। ফলে ছয় বছর আগের তুলনায় বেকারত্বের হারও কমেছে।
জরিপের ফলাফল অনুযায়ী, এখন দেশে শ্রমশক্তিতে ৭ কোটি ৩৪ লাখ মানুষ আছেন। এর মধ্যে কাজে নিয়োজিত আছেন ৭ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, কেউ যদি সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করেন, তিনি আর বেকার নন। এমনকি যেসব মায়েরা বাড়িতে হাঁস-মুরগি পালন করেন, তারাও বেকার নন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, মহামারি করোনাভাইরাসের সময়ে দারিদ্র্যের হার কমেছে। সরকার বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে কর্মসংস্থান বেড়েছে। করোনার সময় ২০ শতাংশ থেকে দারিদ্র্য কমে ১৬ শতাংশ হয়েছে। সরকার বিলিয়ন ডলার প্রণোদনা প্যাকেজ দিয়েছে। আপনারা গভীরে গেলেই বুঝবেন দেশে দারিদ্র্য কমেছে।
অনুষ্ঠানে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন, করোনার সময় কর্মসংস্থান কমেনি, বরং বেড়েছে। শহর ছেড়ে অনেকে গ্রামে গিয়ে মাছ, সবজি চাষ করেছেন। অনেকে মিষ্টিকুমড়া চাষ করেছেন। লেবার (শ্রমিক) সেভাবে কমেনি। এসময়ে নারীর কর্মসংস্থানও বেড়েছে।
বিশাল বেকার জনগোষ্ঠী সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগও পান না। বেকারত্বের এ হিসাব আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) দেওয়া মানদণ্ড অনুযায়ী। আইএলও মনে করে, সপ্তাহে এক ঘণ্টা কাজ না করলে ওই ব্যক্তিকে বেকার হিসাবে ধরা হয়।
শেয়ার করুন