প্রকাশের আগেই গানটি নিয়ে শ্রোতাদের মনে আগ্রহ ছিল। কেননা এর মিউজিক কম্পোজিশন করেছেন হালের ক্রেজ প্রীতম হাসান। ফলে গানটি প্রকাশের পর যে সাড়া পাবে, তা অনেকটাই অনুমেয় ছিল। কিন্তু সেই সাড়া যে এতোটা বেগবান হবে, তা হয়তো আয়োজক কিংবা খোদ প্রীতমও কল্পনা করেননি!
বলা হচ্ছে, কোক স্টুডিও বাংলার দ্বিতীয় সিজনের পঞ্চম গান ‘দেওরা’র কথা। গত ৭ মে এটি অন্তর্জালে উন্মুক্ত করা হয়। এরপর থেকেই গানটি রীতিমতো শাসন করছে ইউটিউব। মাত্র ১১ দিনেই এর ভিউ ছাড়িয়েছে ২১ মিলিয়ন! এত অল্প সময়ে প্ল্যাটফর্মটির কোনও গান এই মাইলফলকে যেতে পারেনি।
কোক স্টুডিও বাংলার দুটি সিজন মিলিয়ে সর্বোচ্চ ভিউপ্রাপ্ত গান ‘ভবের পাগল’। নিগার সুমি ও র্যাপ ব্যান্ড ‘জালালি সেট’র যৌথ পরিবেশনার এই গানের ভিউ ২৪ মিলিয়ন। তবে এটি প্রকাশ হয়েছিল এক বছর আগে। অন্যদিকে ‘দেওরা’ মাত্র ১১ দিনেই ২১ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গেছে! কেবল কোক স্টুডিও বাংলা নয়, যেকোনও বাংলা গানের ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা বিরল।
প্রকাশের পর থেকে বেশ কয়েক দিন গানটি ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ছিল। প্রতিবেদনটি লেখার সময় ট্রেন্ডিং তালিকায় এর অবস্থান তৃতীয়। বোঝা যাচ্ছে, এখনও গানটিতে বুঁদ হয়ে আছে দর্শক-শ্রোতারা।
এদিকে শুধু বাংলাদেশে নয়, ‘দেওরা’র আবেদন ছড়িয়ে গেছে আরও বহু দেশে। প্রতিবেশী দেশ ভারত থেকে বিপুল সাড়া পাচ্ছে গানটি। এমনকি এই গান পৌঁছে গেছে দূর আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায়ও! সেখানকার জনপ্রিয় কনটেন্ট ক্রিয়েটর কিলি পল ‘দেওরা’র সঙ্গে ঠোঁট মিলিয়েছেন। টিকটকে তার ওই কন্টেন্ট মাত্র এক দিনেই ১২ লাখের বেশি ভিউ হয়েছে। এছাড়া গানটি নিয়ে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও টিকটকে হাজারও রিলস-ভিডিও প্রতিনিয়ত তৈরি হচ্ছে। যেটা সহজেই প্রমাণ করে, অন্তর্জালে কতটা ঝড় তুলেছে গানটি।
‘দেওরা’ গানটির কথা লিখেছেন ফজলু মাঝি ও প্রীতম হাসান। এতে প্রীতমের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ইসলামউদ্দিন পালাকার ও ফজলু মাঝি। সঙ্গে রয়েছেন আরমীন মুসা ও তার কয়্যার দল ‘ঘাসফড়িং’।
প্রকাশের সময়ই গানটি নিয়ে প্রীতম বলেছেন, ‘আমার পুরো ক্যারিয়ারে গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা করেছি বরাবর। কোক স্টুডিও বাংলা আমাকে আরও নতুন ধরনের কিছু করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। এটি এমন একটি গান যার সঙ্গে সবাই নিশ্চিতভাবে গলা মেলাবেন। এই গান সবার মাঝে সংগীতের ম্যাজিক জাগিয়ে তুলবে বলে আমার বিশ্বাস।’
প্রীতমের সেই কথার ব্যত্যয় ঘটেনি। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বাস্তব, সবখানেই ‘দেওরা’র আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
শেয়ার করুন