অপপ্রচার-বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সুনামগঞ্জ

দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির খোকা’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার, বিভ্রান্তি মূলক মিথ্যা মামলা ও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টাল এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে উদ্দেশ্যেমূলক সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার দুপুরে উপজেলার লিয়াকতগঞ্জ স্কুল অ্যান্ড কলেজ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন অধ্যক্ষ আব্দুল কাদির খোকা, এ সময় উপস্থিত ছিলেন গভর্ণিং বডির সভাপতি লক্ষীপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো: আমিরুল হক,গভর্ণিং বডির সদস্য বীর মুক্তিযুদ্ধা মনাজির গণি তালুকদার, আবু নাছের, আব্দুল মজিদ খান, রহিমা বেগম, লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক মতিউর রহমান মোহন,* হাসিনা মমতাজ লিপি, মো: মনির হোসেন,
আব্দুল লতিফ প্রামাণিক,বায়েজিদ বোস্তানি,আমির হোসেন, নূর আলম,প্রভাষক মো : আবুবকর সিদ্দিক, প্রভাষক মো : আবুল কালাম আজাদ, অফিস সহকারী
মোঃ আল আমিন,মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ হারুন অর রশিদ প্রমুখ

এ সময় লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন,আপনাদের সদয় অবগতির জন্য আমি অধ্যক্ষ, আবদুল কাদির জানাচ্ছি যে, অত্র লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ শাখাটি নন-এমপিও ভূক্ত। সরকার বাহাদুর শতভাগ উপবৃত্তি গ্রহণ করায় শিক্ষার্থীর কাছ থেকে আমরা কোন টিউশন ফি নিতে পারছিনা। শিক্ষদেরকে নিয়মিত বেতন-ভাতা প্ররিশোধ করতে পারছিনা এমনকি কলেজ শাখায় ইংরেজি, আইসিটি, বাংলা, ইতিহাস সহ বিষয় ভিত্তিক এই সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়েও শিক্ষক নিতে পারছিনা অর্থের অভাবে। যার ফলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি এবং আইসিটি বিষয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অকৃতকার্য হচ্ছে। এমতাবস্থায় বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের সামঞ্জস্য বজায় রেখে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার একান্ত জরুরি বলে কর্তৃপক্ষ মনে করছে।
যেহেতু আবশ্যিক বিষয় ইংরেজি, বাংলা, আইসিটি সেহেতু ঐচ্ছিক যুক্তিবিদ্যা বিষয়কে এত গুরুত্ব না দিয়ে ইংরেজি, আইসিটি গুরুত্ব দিয়ে শিক্ষক নিয়োগ সমন্বয় করার বিষয়ে গত ২৭ মে ২০২৩ ইং তারিখের সভায় বিবিধ আলোচনা হয় এবং আলোচনানতে সভাপতি ও প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বিষয়টি সুষ্ঠ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ বা অব্যাহতি সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণের লক্ষ্যে সকলে একমত পুষণ করেন।
গত ৩০ মে ২০২৩ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার সভাপতি মহোদয় আমাকে ঐচ্ছিক বিষয় যুক্তিবিদ্যা এর প্রভাষক খন্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত মোছাঃ রেহেনা বেগমকে আপাতত ০১ জুন ২০২৩ ইং তারিখ থেকে কর্মস্থলে (বিদ্যালয়ে) না আসার জন্য বলে দেওয়ার লক্ষ্যে আমাকে নির্দেশ প্রদান করেন এবং পরবর্তি সভায় এই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে এবং রেহেনা বেগমকে সভা পরবর্তিতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
সভাপতি নির্দেশ ক্রমে আমি খন্ডকালীন শিক্ষিকা রেহেনা বেগমকে ৩১ মে ২০২৩ ইং তারিখ বেলা আনুমানিক ২.০০ ঘটিকার সময় উনাকে সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ এর উপস্থিতে তিন মাসের বকেয়া বেতন প্ররিশোধ পূর্বক বিষয়টি অবগত করি এবং আমরা সকলে যথাযথ ভাবে অন্যান্য দিনের মত কর্মস্থল ত্যাগ করি। খন্ডকালীন প্রভাষক রেহেনা বেগম পরবর্তি দিন অর্থাৎ ০১ জুন রোজ বৃহস্পতিবার আনুমানিক ১২.৪৫ মিনিটের সময় সহকারী প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সহকারী শিক্ষক মতিউর রহমান, সহকারী আব্দুল লতিফ, সহকারী শিক্ষক বায়েজীদ হোসেন এবং কলেজ শাখার শিক্ষক আবু বকর সিদ্দিক ও আবুল কালাম আজাদ সহ আমার অফিস কক্ষে প্রবেশ করে এবং উনাদের সকলের উপস্থিতে আমার দিকে উনাকে না আসার কারণ জানতে আমাকে প্রশ্ন করেন। প্রতি উত্তরে আমি উনাকে প্রাতিষ্ঠানিক গভর্ণিং বডির পরবর্তি সভায় এই বিষয়ে সিদ্ধনাত হবে এবং আপনাকে বিস্তারিত জানানো হবে মর্মে জবাব দেই। কিন্তু এই জবাব তিনি উপেক্ষা না করে আমার প্রতি সৃষ্ঠাচার বহির্ভুত উচ্চস্বরে তুই-তকারি করেন এবং টেবিলে টিসু বক্স আমাকে উদ্দেশ্য করে চুরে মারেন। উপস্থিত সকল শিক্ষকবৃন্দ উনাকে থামানোর জন্য চেষ্ঠা করলেও উনি আরোও বেশি জুড়ে অশালীন গালা-গালী করতে থাকে। এক পর্যায়ে সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব আবুল কালাম আজাদ তাকে অফিস থেকে বের করে নেয়। বাহিরে এসেও তিনি শিক্ষার্থীদের উপস্থিতে আমাকে গালী-গালাজ করতে থাকে।
গত তিনদিন যাবত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কু-রুচি পুর্ণ ব্যবহার এমনকি যৌন হয়রানি মূলক মিথ্যাচার রটনো হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও কাল্পনিক ও বানোয়াট। আমার মনে হয় কতিপয় স্বার্থন্নেশি মহল আমাকে ও আমার প্রাণ প্রিয় বিদ্যাপিঠ লিয়াকতগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজকে হ্যায় প্রতিপন্ন করার লক্ষ্যে ও এই সকল অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাধ জানাচ্ছি এবং আপনাদের মাধ্যমে উর্ধতন কর্তৃপক্ষসহ সমগ্র দেশবাসীকে অবগত করছি।
গত কাল ০৩ জুন ২০২৩ ইং তারিখ রোজ শনিবার এহেন প্ররিস্থিতে গভর্নিং বডির ০৭/২৩ সভার জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় তাকে (মোছাঃ রেহেনা বেগম) প্রতিষ্ঠান থেকে স্থায়ী অব্যহতির সিদ্ধান্ত গৃহীত ও অনুমোদিত হয়। মোছাঃ রেহেনা বেগম এর এই অশালীন বক্তব্য ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে উপস্থিত সকল সদস্যবৃন্দ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাধ জানান। এরই লক্ষ্যে আগামী ০৬ জুন ২০২৩ ইং রোজ মঙ্গলবার সকাল ১০.০০ ঘটিকায় সাধারণ সভার আহব্বানের দিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
প্রতিষ্ঠানের সার্বিক শৃঙ্খলা শিক্ষার মান, শিক্ষকের সম্মান ও কুমল মতি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমি আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীকে এগিয়ে আসার আহব্বান করছি।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *