মধ্যরাতের শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সিলেট নগরের বিভিন্ন এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল রোববার মধ্যরাত থেকে আজ সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিতে কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি ওঠে গেছে। ভারী বর্ষণে নগরের বিভিন্ন পাড়া–মহল্লার বাসাবাড়িতে পানি প্রবেশের খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া খাল ও ছড়াগুলোতে পানি উপচে পড়ার মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। পানি বৃদ্ধি পেয়েছে সিলেট শহরের বুক চিড়ে বয়ে যাওয়া সুরমা নদীর।
নগরের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অভ্যন্তরে, লামাবাজার, মিরেরময়দান, শিবগঞ্জ, সেনপাড়া, সোনাপাড়া, শাহজালাল উপশহর, মেন্দিবাগ, তোপখানা, কাজলশাহ, লালাদীঘির পাড়, আম্বরখানা এলাকায় অতিবৃষ্টির ফলে জলাবদ্ধতা দেখা গেছে। ওই সব এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গতকাল মধ্যরাত থেকে আজ সকাল অবধি টানা বৃষ্টির ফলে বাসাবাড়ি ও সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। যে সড়কগুলোর কয়েকটিতে এখনো জলাবদ্ধতা রয়েছে।
জলাবদ্ধতা নিয়ে সিলেট মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন তার ফেসবুক স্ট্যাটাস এ বলেন -
এটা ভারত থেকে আসা পানি অথবা ভরাট সুরমা নদীর উপচে আসা পানি নিশ্চয় নয়।অপরিকল্পিত উন্নয়ন বললে দোষ কিসের ? উন্নয়ন আর উন্নয়নের বরপুত্র বলতে বলতে সিলেটকে মেকি লন্ডনে বানানোর অপচেষ্টা করে(হাতে গনা মুখচেনা) যারা প্রচার মাধ্যমে প্রচারে ব্যস্ত থাকেন আপনারা আজ কোথায় ? কেন আপনারা (সকলের জন্য বলা নয়) আজ নগরবাসীর দুর্ভোগ দুর্দশা তুলে না ধরে দায়িত্বহীনতার পরিচয় কি দিচ্ছেন না, আপনাদের বিবেকের কাছে এ প্রশ্ন রেখে দিলাম। তবে এ বাস্তবতা তুলে ধরার জন্য বৃষ্টি বাদল উপেক্ষা করে পানির মধ্যে অবস্থান নিয়ে যারা এ সত্য প্রকাশের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তাদেরকে জানাই ধন্যবাদ।সত্যিকার অর্থে আপনারা হলেন সময়ের সাহসী প্রচার সৈনিক।
সিলেটে বৃষ্টি হয় এটা ঐতিহাসিক ভাবে সত্য, ঘন্টা খানিক বৃষ্টি হলেই রাস্তাঘাট জলে ডুবে যাবে, মানুষের ঘর বাড়িতে পানি ঢুকবে এটা একেবারে নতুন ঘটনা।
তাহলে কি অপরিকল্পিত নগর উন্নয়ন বলা ভুল হবে নগর কর্তৃপক্ষ জবাব চাই।
প্রধান সম্পাদকঃ সারওয়ার খান
সম্পাদকঃ জাকের খান (রুবেল)
© স্বত্ব সংরক্ষিত © ২০২৫