এমনিতেই সিলেটের বাজারে লাগামহীন নিত্যপণ্যের দাম। প্রতি সপ্তাহে বেড়ছে কোন না কোন পণ্যের দাম। এতে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। এর উপর হরতাল আর অবরোধের দোহাইয়ে আরেক দফা বেড়েছে নিত্যপণ্যের দাম। তিনদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বিক্রি হলেও বুধবার সিলেটের বাজারে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। এছাড়া কাঁচাবাজারে সব জিনিসপত্রের দামে ঝরছে আগুন। হঠাৎ করে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রেতারা পড়েছেন বেকায়দার মধ্যে।
বুধবার (১ নভেম্বর) সিলেটের কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ সবজির দাম এখনো প্রতি কেজি ৮০ টাকার ওপরে। নতুন করে বেড়ে টমেটোর দাম প্রতি কেজি ২০০ টাকা ছুঁয়েছে। শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করালে দাম কিছুটা কমেবে বলে মনে করেন বিক্রেতা। এছাড়া বাজারে ডাল, আটা, ময়দা ও সয়াবিন তেলের মতো নিত্যপণ্যের দাম কমেনি।
ক্রেতাদের অভিযোগ, বাজার তদারকির অভাবেই এভাবে বেশি দাম নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা।
সুমন নামে এক ক্রেতা বলেন, মাত্র তিন দিন আগেই প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনেছি ৮০ টাকায়। আর আজ সেই পেঁয়াজ কিনতে হলো ১৩০ টাকায়। পেঁয়াজ, চাল, তেল, মুরগিসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের বেড়েই চলেছে। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে সীমিত আয়ের লোকজনদের না খেয়ে থাকতে হবে। তিনি অভিযোগ করেন, বাজার মনিটরিংয়ের অভাবেই এভাবে দাম বেশি নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে খুচরা বিক্রেতারা।
ব্যবসায়ীরা জানান, হরতাল নয়, এলসির কারণে পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তার উপর চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ না থাকায় নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে। এছাড়া আজ অবরোধের কারণে অনেক পণ্যবাহী গাড়ি সিলেট পৌঁছাতে পারেনি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আলু পাইকারি সর্বোচ্চ ২৭, খুচরা ৩৬, পেঁয়াজ পাইকারি ৫৪, খুচরা ৬৫ টাকা বিক্রির নির্ধারণ করে দেয়। সরকার নির্ধারিত দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে কিনা তা তদারকির জন্য জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার নির্ধারিত সেই দামে আলু ও পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে না।