অবশেষে শ্রীধরপুরের সংঘর্ষের ঘটনার ১০ দিন পর মামলা নিল বিশ্বনাথ থানা পুলিশ

সিলেট

ফারুক আহমদ
স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের বিশ্বনাথে শ্রীধরপুর গ্রামে গত ২৩ জুলাই দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অবশেষে ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২ আগস্ট) রাতে অপর পক্ষের মামলা নিয়েছে থানা পুলিশ।

শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মছদ্দর আলীর পুত্র সেবুল আলী বাদী হয়ে দায়ের করার মামলা নং ১ (তাং ২.০৮.২৩ইং)।
এরপূর্বে গত ২৪ জুলাই তাদের (সেবুল গং) প্রতিপক্ষ একই গ্রামের আশিক আলী গংদের দায়ের করা মামলা রেকর্ড করে ছিল পুলিশ। সেই মামলা নং ৮ (তাং ২৪.০৭.২৩ইং)।

সেবুল মিয়া বাদী হয়ে বিশ্বনাথ থানায় দায়ের করা মামলার অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্বনাথের কাউপুর গ্রামের আরিফ আলী উরফে আরিছের পুত্র ইব্রাহিম হাসান আব্রাহাম উরফে নাঈম, মামুন মিয়া, শ্রীধরপুর (কাউপুর) গ্রামের আনফর আলীর পুত্র জাহির আলী, রুপন আলীর পুত্র আব্দুল মোমিন, আব্দুল বাতিন, আব্দুল কাইয়ুম, ছবর আলীর পুত্র রিপন আলী, চেরাগ আলীর পুত্র লোকমান আলী, আরশ আলীর পুত্র নজরুল ইসলাম নিজাম, বাতির আলীর পুত্র জাহান আলী, তমছির আলীর পুত্র মিছবা উদ্দিন, মৃত জিতু মিয়ার পুত্র ছালেখ আলী, ওয়াতির আলীর পুত্র গিয়াস আলী, মৃত আইন উল্ল্যার পুত্র আশিক আলী, আশিক আলীর পুত্র আল আমিন, আনোয়ার আলীর পুত্র শাকিল আলী, ছবদ আলীর পুত্র লিটন আলী, জাহির আলীর স্ত্রী শাহানারা বেগম, আব্দুল মোমিনের স্ত্রী তাহমিনা বেগম।
মামলার লিখিত এজাহারে বাদী সেবুল মিয়া উল্লেখ করেছেন, বিবাদীগন ইতপূর্বে আমার (বাদী) বসতঘরসহ ৪টি বসতঘর ভাঙ্গা-চুরা, লুটপাট ও সবজি ক্ষেত উপরাইয়া ফেলার কারণে আমার (বাদী) বড় ভাই তাদের (বিবাদী) বিরুদ্ধে দ্রæত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলা দায়েরের আক্রোশে বিবাদীগন আমি (বাদী)’সহ আমার ভাই-বোনদেরকে গ্রাম ছাড়া করার উদ্দেশ্যে ঘটনার তারিখ (চলতি বছরের ২৩ জুলাই) ও সময়ে পূর্ব পরিকল্পনা মোতাবেক অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার (বাদী) বসত বাড়িতে অনাধিকার প্রবেশ করে আক্রমন করে। বিবাদীদের হামলায় বাদী, তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী রেজিয়া বেগম, বোন সমতা বেগম, ভাগনা সজিব গুরুত্বর রক্তাক্ত আহত করে। এসময় মামলার প্রধান অভিযুক্ত কাউপুর গ্রামের আরিফ আলী উরফে আরিছের পুত্র ইব্রাহিম হাসান আব্রাহাম উরফে নাঈম তার পালিত জার্মান শেফার্ড কুকুর লেলিয়ে দিলে সেই কুকুর বাদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী রেজিয়া বেগম, শিশু ভাগনা রাজু মিয়া, ভাতিজা সুজাত মিয়া, স্ত্রী আয়েশা বেগমকে কামড় দিয়ে গুরুত্বর আহত করে। হামলার সময় বিবাদীরা বাদীসহ তার আতœীয়-স্বজনকে এ্যালোপাতাড়ি মারধর করার পাশাপাশি বাদীর বড় ভাইয়ের স্ত্রী ও বোনের শ্লীলতাহানী করেছে এবং বিবাদীদের তান্ডবলীলা ধারণ করার সময় বিবাদীরা বাদীর ভাতিজার হাত থেকে প্রায় ১৩ হাজার টাকার মূল্যের একটি মোবাইল সেট জোরপূর্বক ও বাদীর ঘরে থাকা প্রায় ৪০ হাজার টাকার মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে এবং ভাংচুর করিয়া প্রায় ৩০ হাজার টাকার ক্ষয়-ক্ষতি করেছে বলে বাদী তার লিখিত বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।

মামলা দায়েরের সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে এব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *