অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক বন্ধে শিগগিরই অভিযান

জাতীয়

দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার সহ অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোকে বন্ধ করে দিতে সকালেই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।

তিনি বলেন, কর্মকর্তাদের কাছে জানতে চেয়েছি দেশে প্রকৃতপক্ষে কতোগুলো অবৈধ ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র আছে। যতগুলোই সংখ্যায় থাকুক, এসব অবৈধ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলো বন্ধ করে দিতে আমাদের অভিযান শিগগিরই শুরু করা হবে। এর মধ্যেই অবৈধ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর মালিকেরা নিজেরাই যদি বন্ধ করে দেয় ভালো, নাহলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা  নেবো। গতকাল বনানী কবরস্থানে পঁচাত্তরের ১৫ই আগস্ট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু শেখ কামাল সহ অন্য শহীদদের কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে উপস্থিত  সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আমরা এবার স্বাস্থ্যসেবাকে গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে দিতে কাজ করবো। ঢাকা মেডিকেলে যে মানের ডাক্তার চিকিৎসা দিচ্ছে সে মানের ডাক্তার জেলা-উপজেলা হাসপাতালে পাঠানো গেলে তো কাজটি সহজ হয়ে যায়। আর ডাক্তারদের সুযোগ-সুবিধা ভালো করলে তারাও নিশ্চয়ই জেলা-উপজেলা পর্যায়ে কাজ করতে আগ্রহী হবেন। সব মিলিয়ে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে কাজ করা এবং সেটা আমরা করবো। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বাল্যবন্ধু জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার বড় ছেলে শেখ কামাল বেঁচে থাকলে আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর জ্যেষ্ঠ কন্যা শেখ হাসিনার হাত নিঃসন্দেহে আরও অনেক বেশি শক্তিশালী হতো।

শেখ হাসিনা সেই শক্ত হাতে বাংলাদেশকে আরও দ্রুততম সময়ে উন্নত দেশে পরিণত করতে পারতেন। কিন্তু ঘাতকরা অনেক বড় ক্ষতি করে দিয়েছেন।

মন্ত্রী ছেলেবেলার স্মৃতিচারণ করে বলেন, শেখ কামাল দেশকে নিয়ে অনেক ভাবতেন। আমরা কয়েকজন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছিলাম। আমরা দেখেছি, তিনি (শেখ কামাল) খেলাধুলার উন্নতির প্রতি খুবই আগ্রহী ছিলেন। বাংলাদেশ যেন বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খেলতে পারেন এজন্য তিনি খেলাধুলায় উৎসাহ দিতেন এবং পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে খেলাধুলা সহ সব দিকে বাংলাদেশ আরও দ্রুত এগিয়ে যেত। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এসময় জাতির পিতার জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামালের ছোটবেলার বন্ধু বাদল-সহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *