“অব্যাক্ত কষ্ট আর অভাবের রাজত্ব চলছে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জে”

সিলেট

 

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি-
“সজীবুল ইসলাম ”

সিলেটের জেলার – কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারি অবস্থিত। অভাবের রাজত্ব চলছে বর্তমানে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায়।ক্ষুধার অব্যক্ত কষ্ট সাধারণ, মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্ত মানুষের শরীর জুড়ে।শ্রমজীবী মানুষগুলো একবেলা ভাত খেয়ে আরেক বেলা গুড়-মুড়ি চিবিয়ে দিন কাটাচ্ছে।তাছাড়া প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ ঘুর্ণিঝড় বন্যার কবলে মানুষ আরো বেশী অসহায়।বছর খানেক আগের কোম্পানীগঞ্জ থেকে আজকের কোম্পানীগঞ্জের অবস্থার বেশ ফারাক।কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের একমাত্র রুটি রুজির জায়গা ছিল ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারী। পাথর কুয়ারী কেন্দ্রিক বারকী,চিফ পাথর কেনা বেচার মধ্য দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন কোম্পানীগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষ। কিন্তু কোন এক অপদেবতার চাবিতে আজ পাথর কোয়ারী বন্ধ। অসহায়, অভাব ঋণে জর্জরিত সাধারণ মানুষ। আজ আর কোনো পাথর কোয়ারিতে নেই পাথর উত্তোলনের সেই চিরচেনা কর্ম ব্যস্ততা। বন্ধ অলস পড়ে আছে হাজার হাজার পাথরবাহী ট্রাক, ট্রাক্টর, নদীতে ঘাটে ঘাটে বাঁধা রয়েছে হাজার হাজার পাথরবাহী নৌকা, বাড়ির আঙিনায় পরিত্যাক্ত হয়ে পড়ে আছে হাজার হাজার ট্রাক্টর,অকেজো হয়ে আছে মিনিষ্টোন ক্রাশার মেশিনগুলো। সিলেটের এসব পাথর কোয়ারির ওপর সুদীর্ঘকাল থেকে নির্ভরশীল সীমান্তবর্তী উপজেলার লাখ লাখ শ্রমিক, ব্যবসায়ী।

পরিবেশের ক্ষতি ও ভিবিন্ন দুর্ঘটনার কারন দেখিয়ে ।২০০৯ সালে উচ্চ আদালতে পরিবেশ বিপর্যয় আইনে পরিবেশ আইনবিদ সমিতি বেলার করা ঐ মামলার রায় হয় ২০১২ সালে। সেই থেকেই সনাতন ও ম্যানুয়াল সব পদ্ধতিতে পাথর উত্তোলন বন্ধ কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জে।জীবিকার তাগিদে অসহায় শ্রমজীবী মানুষ ছোট ছোট নৌকা যুগে বালু থেকে পাথরের দানা সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করলেও সেখানে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ।স্থানীয় অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত পাথর আহরণ ও বিপণন হঠাৎ করে হওয়ায় লোকজন বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।অন্যদিকে বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটেছে। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২০২৩ সালের ২২ডিসেম্বর সিলেট দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা সিলেটের পাথর কোয়ারিগুলো খুলে দিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে আধা-সরকারিপত্র পাঠিয়েছেন সিলেট-৪ আসনের সাংসদ সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমরান আহমদ।তাঁর স্বাক্ষরিত একটি ডিও (আধা-সরকারিপত্র) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।কিন্তু এত কিছুর পরও খুলছে না পাথর কোয়ারী। এমতাবস্থায় সাধারণ জনগণের অবস্থা বেহাল তরিয়তে বহমান।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *