অভয়নগরে স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার স্বামী

জাতীয়

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
যশোরের অভয়নগরে নিজের খেয়াল খুশি মত স্বামীর সংসার করতে অনিচ্ছুক এক স্ত্রীর মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকার হচ্ছে হরিচাঁদ মন্ডল (৪২) নামের এক যুবক।

১০ /১২ বছর আগে অভয়নগর উপজেলার বলারাবাদ গ্রামের বৈদ্যনাথ মন্ডলের পুত্র হরিচাঁদ মন্ডলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় পাশ্ববর্তী মনিরামপুর উপজেলার মশিয়াহাটি কুলটিয়া ইউনিয়নের খোকন মন্ডলের কন্যা তন্দ্রা মন্ডল (২৯)। তাদের ঘরে অয়ন মন্ডল (১০) নামের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, হরিচাঁদ মন্ডলের স্ত্রী তন্দ্রা মন্ডল সর্বদা সংসারের তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হরিচাঁদ ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে ঝগড়া বিবাদ করতো। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারী তন্দ্রা হরিচাঁদের সংসার করবেনা বলে সংসারের আসবাবপত্র সোনার গহনা নিয়ে চলে যাচ্ছিলো এ সময় স্থানীয়রা তাকে বাঁধা দিয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে একটা সাদা কাগজে মালামালের তালিকা তৈরি করে পুলিশ-সহ উপস্থিত স্থানীয়দের সাক্ষী রেখে স্ত্রী তন্দ্রা মালামাল নিয়ে যায়। এরপর দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও হরিচাঁদের স্ত্রী ফিরে না আসায় হরিচাঁদ কুলটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখর চন্দ্র রায়ের কাছে সুবিচার চাইলে ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের একটা সালিশ বৈঠকে প্রমানিত হয় স্বামীর সংসার ছেড়ে আসা স্ত্রী তন্দ্রা তার বিবাহের সময় দেওয়া অলংকার সহ আসবাবপত্র নিয়ে তার বাবার বাড়ি চলে এসেছে। স্বামী হরিচাঁদের সংসার করবার ইচ্ছে থাকলেও তার স্ত্রী তন্দ্রা বিভিন্ন অজুহাতে স্বামীর সংসার করতে অনিহা প্রকাশ করেন। স্ত্রীর অসহোযোগিতায় বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে ব্যর্থ হয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। পরে হরিচাঁদ আইনের আশ্রয় নিয়ে স্ত্রীকে পরপর তিনটি লিগ্যাল নোটিশ প্রদান করেন। স্ত্রী লিগ্যাল নোটিশের কোন জবাব না দেওয়ায় হরিচাঁদ স্ত্রী ফিরে পেতে যশোরের বিজ্ঞ অভয়নগর সিনিয়র সহকারি জজ ও পারিবারিক আদালতে একটি মামলা করেন। হরিচাঁদ মামলা করার প্রায় তিন মাস পর স্ত্রী তন্দ্রা যশোরের বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মনিরামপুর আমলী আদালতে একটি যৌতুক মামলা করেন যা আদৌ সত্য নয়।

এ বিষয়ে স্বামী হরিচাঁদ বলেন, আমাদের ঘরে একটি পুত্র সন্তান রয়েছে আমি চাই তন্দ্রার সাথে সংসার করতে। আমি তার সাথে সংসার করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি প্রতিদানে একটি মিথ্যা মামলা পেয়েছি।
এ বিষয়ে স্ত্রী তন্দ্রা জানান, হরিচাঁদের সাথে বিবাহ হবার পর থেকে সে বিভিন্ন সময়ে আমার পরিবারের কাছ থেকে বিভিন্ন অংকে টাকা নিয়েছে। হরিচাঁদের চরিত্র ভাল না। তার সাথে একাধিক নারীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। তার সাথে আমার সম্পর্ক রাখা সম্ভব না। হরিচাঁদ যদি আমাকে ২ লক্ষ টাকা দেয় এবং তার করা মামলা তুলে নেয় তাহলে আমিও আমার মামলা তুলে নিয়ে তাকে ডিভোর্স দিব।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *