অস্থির সময়ের’ বাজেট, সরকারের দুশ্চিন্তা

জাতীয়

মহামারী থেকে সরকারের পট পরিবর্তনে অর্থনীতিতে যে ধাক্কা লেগেছে তা কাটিয়ে ওঠার আগেই সামনে এসে দাঁড়িয়েছে আরেকটি অর্থবছর; যা ঠিকঠাক পাড়ি দেওয়া অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য ‘কঠিন’ হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা বিশ্লেষকদের।

কেউ কেউ বলছেন, রাজনৈতিক ‘অনিশ্চয়তার’ এ সময়ে বাজেট প্রণয়ন করাটাও একটা চ্যালেঞ্জ। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংস্কারের পথে থাকা এ সময়ে সবগুলো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বাজেট বাস্তবায়ন সরকারের জন্য দুশ্চিন্তারও বটে।

কারণে হিসেবে তারা বলছেন, এর আগের যে তত্ত্বাবধায়ক আমল; কিংবা শেখ হাসিনার শাসনামলের যে বাস্তবতা, তার সঙ্গে এবারের অন্তর্বর্তী সরকারকে মেলানোর সুযোগ খুব একটা নেই। বর্তমানে ‘রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার’ পাশাপাশি প্রশাসনে যতটা ‘স্থবিরতা’ বা ‘অস্থিরতা’ চলছে, তা আগে ততটা ছিল না।

অন্তর্বর্তী সরকারের তরফে আগামী বাজেট নিয়ে নানা সময়ে বলা হয়েছে, চড়া মূল্যস্ফীতি ও রাজস্ব আদায়ে ঘাটতির বোঝা নিয়েও বিগত আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে উচ্চাভিলাসী বাজেট দিয়ে আসছিল, তারা সে পথে হাঁটতে চান না।

তবে উচ্চাভিলাসী বাজেট থেকে চোখ সরালেও রাজস্ব ঘাটতি কমানো কিংবা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখা যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।

আবার কাটছাঁটের বাজেট করতে গিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, সামাজিক নিরাপত্তা ও অবকাঠামোর মত জনগুরুত্বপূর্ণ খাতকে ‘অবহেলা’ করা হবে কি না, সেই শঙ্কাও আছে।

ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনে ২০২৪ সালের ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগের দীর্ঘ শাসনের অবসান ঘটলে ক্ষমতায় আসে মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।

সরকারে বসার পর থেকেই নানা দাবি-দাওয়ায় প্রশাসনে অস্থিরতা তৈরির পাশাপাশি গত কয়েক মাসে নির্বাচন ও সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতবিরোধ স্পষ্ট হতে থাকে। রাজনৈতিক ডামাডোলের কারণে ভাটা দেখা যায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগেও। বেড়েছে বেকারত্বের হারও।

 

কোথায় মিল, কোথায় অমিল

কোভিড মহামারী থেকে উত্তরণের পথে ২০২২ সাল থেকে অর্থনীতিতে যে সংকট দেখা দেয়, তাতে সংকোচনমূলক রাজস্ব ও মুদ্রা নীতি করার কথা বিভিন্ন মহল থেকেই বলা হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার সে পথে হাঁটেনি।

সুদের হার নয়-ছয়ে আটকে রাখা, মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া, উন্নয়ন প্রকল্পে খরচের অর্থ মেটাতে টাকা ছাপানোর ঘটনাও ঘটে। এতে উসকে যায় মূল্যস্ফীতি, যা আড়াই বছরের বাস্তবতায় কখনও ৯ শতাংশের নিচে নামেনি; দুই অঙ্ক ছোঁয়ার ঘটনাও ঘটে।

সবশেষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুটি বাজেট দিয়েছিলেন অর্থ উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকা মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম।

তার কথায়, “যখন (২০০৭-০৮ মেয়াদে) তত্ত্বাবধায়ক সরকার কাজ করেছে, সেই সময় কিন্তু খুব একটা মতপার্থক্য ছিল না। দেশের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে একটা স্বস্তির পরিস্থিতি বিদ্যমান ছিল বলে আমি মনে করি।

“তো বর্তমানে আমরা দেখতে পাচ্ছি, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল বিভিন্ন দাবি দাওয়া পেশ করছেন এবং সেই দাবি-দাওয়াগুলো সামঞ্জস্যপূর্ণ না। এতে করে বাজেট প্রণয়ন করাটা বেশ কঠিন ব্যাপার।”

এবারের ভিন্ন প্রেক্ষাপট তুলে ধরতে গিয়ে অর্থনীতিবিদ সেলিম রায়হান বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের সামনে বাজেট বাস্তবায়নের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও প্রশাসনিক স্থবিরতা।

“বর্তমানে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পর্যায়ে রয়েছে, যেখানে জুলাই আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পরেও রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়নি।”

তিনি মনে করেন, “এই পরিস্থিতিতে অন্তর্বর্তী সরকারের বড় ধরনের নীতিনির্ধারণী বা দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

“সরকারের মেয়াদ সীমিত হওয়ায় বাজেট বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ নেওয়াও সব ক্ষেত্রে সম্ভব হবে না। পাশাপাশি রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতায় প্রশাসনিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে, যা উন্নয়নমূলক বাজেট বাস্তবায়নে প্রতিকূলতা তৈরি করবে।”

সচিবালয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে আন্দোলন ও কর্মবিরতিতে ‘আমলাতান্ত্রিক স্তরে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ধীরগতি দেখা যাচ্ছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তার ভাষ্য, “এতে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি কমে যাবে এবং ব্যয়-কাঠামো অনুযায়ী অর্থছাড় করা সম্ভব হবে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহী হবেন না। ফলে রাজস্ব আয় প্রত্যাশিত হারে বাড়বে না এবং বাজেট ঘাটতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে।”

সঙ্কট কোথায় কোথায়?

বাজেটে মূলত সরকারের এক অর্থবছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব ও অর্থনীতির গতিপথ বাতলে দেওয়ার রূপরেখা ও নকশা থাকে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে মেলে দিশা।

সরকারের আয়-ব্যয়ের মধ্যে যে ঘাটতি থাকে, তার জোগান কীভাবে হবে, তার একটা ধারণাও থাকে বাজেটে। এর মধ্য দিয়েও সরকারের সংকোচন বা সম্প্রসারণ নীতির ভাব বোঝা যায়।

এসব বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন চ্যালেঞ্জ রয়েছে বলে মনে করেন সিপিডির সম্মানীয় ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান।

তার ভাষায়, “রাজস্ব আয়ের যে প্রাক্কলন করা হবে, সেটা কীভাবে অর্জন করা হবে, তা একটা চ্যালেঞ্জ। ব্যক্তির যে করমুক্ত সীমা, সেটা হয়ত কিছুটা ওপরের দিকে করা হবে।

“তারপরে বিভিন্ন যেসব শুল্ক ইত্যাদি আছে, সেগুলো হয়ত কিছুটা রিভিউ করা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কের পরিপ্রেক্ষিতে হয়ত কিছু শুল্ক যৌক্তিকও করা হবে। নিজস্ব প্রয়োজনীয়তার নিরিখেও হয়ত ট্যারিফ রেটগুলো কিছুটা যৌক্তিক করা হবে।”

রাজস্ব ব্যয়ের ক্ষেত্রে ‘গুড গভর্নেন্সকে’ চ্যালেঞ্জ হিসেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, “রাজস্ব ব্যয় ও উন্নয়ন ব্যয়- দুইটার দিকে নজর দিতে হবে। বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল গুড গভর্নেন্স।

“নতুন প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার বলছে যে এডিপি কাটছাঁট করা হবে। কিন্তু চ্যালেঞ্জটা হল, কাটছাঁট করা হলেও যদি ‘মানসম্মতভাবে বাস্তবায়ন’ করা না যায়, তাহলে লাভ কী? সুতরাং বাস্তবায়ন মানসম্মত করাটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।”

ঘাটিত অর্থায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সরকার বলছে যে ব্যাংকিং খাতে বেশি চাপ দেবে না, যেন ইনভেস্টমেন্ট বাড়লেও ব্যক্তিখাতের ঋণ প্রাপ্তি অসুবিধায় না পড়ে।”

মূল্যস্ফীতি বাগে আনাও একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখেন এ অর্থনীতিবিদ।

অর্থনীতির ইতিবাচক ধারাগুলোকে শক্তিশালী করা, ‘ইমার্জিং’ ধারাগুলো মোকাবেলা করা, রাজস্ব ব্যবস্থার ‘সংস্কার’, রাজস্ব আদায়ে ‘চাঞ্চল্য’ আনা ও ব্যয়ে ‘সাশ্রয়’ করাই হচ্ছে আগামী অর্থবছরের মূল ‘চ্যালেঞ্জ’ বলে মনে করেন মোস্তাফিজুর রহমান।

অর্থনীতির শিক্ষক সেলিম রায়হান বলছেন, “বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাজেট প্রণয়নের ক্ষেত্রেও কিছু সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বর্তমানে মূল্যস্ফীতির চাপ, বড় ধরনের বৈদেশিক ঋণ মেটানোর দায়, বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানের ঘাটতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের চাপ রয়েছে।

“এ পরিস্থিতিতে সরকারকে রাজস্ব আয় বাড়ানোর কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হচ্ছে, কিন্তু করজাল বাড়ানোর মতো কার্যকর ও গ্রহণযোগ্য উদ্যোগ যথেষ্ট দৃশ্যমান নয়।”

রাজনৈতিক ‘বিবেচনায়’ অতীতের বাজেট প্রণয়ন করার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “রাজস্ব আয় ও ব্যয়ের মধ্যে বিরাট ব্যবধান বিদ্যমান। ফলে প্রায় প্রতিবছরই বড় ঘাটতি বাজেট প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং এ বাজেটেও তার ব্যতিক্রম হবে না।

“এই ঘাটতি পূরণে সরকারকে বেশি মাত্রায় অভ্যন্তরীণ বা বৈদেশিক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে, যা ইতোমধ্যেই অর্থনীতির ওপর চাপে পরিণত হয়েছে। অতীতে অনেক সময়েই বাজেট প্রণয়ন প্রক্রিয়ায় বাস্তব পরিস্থিতির চেয়ে রাজনৈতিক বিবেচনাকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। যার ফলে বাজেট কাগজে ভালো দেখালেও বাস্তবে তা অনেক ক্ষেত্রেই বাস্তবায়নযোগ্য হয়নি।”

বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট চান অর্থনীতিবিদরা

প্রতি অর্থবছরেই দেখা যায়, অর্থের সংকুলান না হলেও ‘উচ্চাভিলাসী’ বাজেট করা হয়েছে। এবার তা না করার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেন।

বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা কার্যালয়ের সাবেক এ অর্থনীতিবিদ বলেন, “উচ্চাভিলাষী বাজেটের কথা আমরা প্রতিবছরই শুনি। বাজেটের আকারটা যা ধরা হয়েছে, এটা বাস্তবায়নযোগ্য না। আমি আশা করব, এবার জুনের তিন তারিখে যখন আমি পত্রিকাটা খুলব, এই শব্দটা খুব একটা দেখা যাবে না।

“কিন্তু আমার মনে হয় না, আশাটা পূরণ হবে। কারণ যেটা শুনতে পাচ্ছি, সেই অঙ্কটা এখনো বেশ বিরাট, যা বাস্তবায়নযোগ্য নয়। কাজেই উচিত হবে, বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট করা।”

জিডিপি প্রবৃদ্ধি ধীর হয়ে পড়ার মধ্যে ‘বাস্তবায়নযোগ্য’ বাজেট কেমন হতে পারে, সেই ব্যাখ্যায় তিনি বলছেন, “বাস্তবায়নযোগ্য বাজেট বলতে আমি যেটা বলছি যে, যেটায় আপনি অর্থায়ন করতে সক্ষম। আপনার রাজস্ব আহরণ, আপনার বিদেশি অর্থায়ন এবং স্থানীয় অর্থায়ন- এই তিনটা মিলে যেই অর্থ জোগাড় আপনি করতে পারবেন, সেই আকারের একটা বাজেট যদি দেওয়া হয়, তাহলে সেটাকে অন্তত প্রাথমিকভাবে বাস্তবায়নযোগ্য বলা যাবে।”

তবে অর্থের সংকুলান করতে গেলে দেশজ পণ্য উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি কমে আসবে এবং তা ইতোমধ্যেই বিশ্ব ব্যাংক, এডিবি, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ (আইএমএফ) বৈশ্বিক উন্নয়ন সহযোগীরা পূর্বাভাসে বলেছে। তারা আসছে অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ শতাংশের আশপাশে থাকবে বলে সতর্ক করেছে।

এমন পরিস্থিতিতে সামষ্টিক অর্থনীতির বর্তমান সমস্যা, বিশেষ করে জিডিপি প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন অর্থনীতিবিদ মির্জ্জা আজিজ। এ অবস্থায় দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি ‘হোঁচট’ খেতে পারে বলেও শঙ্কা তার।

তিনি বলেন, “এখন সবাই বলছে এটা ৫ শতাংশের নিচে থাকবে। তো এখন জাতীয় উৎপাদনের প্রবৃদ্ধি যদি কম হয়, তাহলে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে না। কর্মসংস্থান না হলে দারিদ্র বিমোচনে আমরা হোঁচট খাব।”

অর্থনীতির আরেক শিক্ষক অধ্যাপক সেলিম তার প্রত্যাশায় বলেন, “অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে প্রত্যাশা থাকবে বাস্তবমুখী বাজেট প্রণয়নের।

“বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের প্রতিটি স্তরে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, প্রশাসনিক দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা জরুরি। নইলে বাংলাদেশের অর্থনীতি কাঠামোগতভাবে আরও দুর্বল হয়ে পড়ার আশঙ্কা থেকে যাবে।”

 

সমাধান কোন পথে?

রাজস্ব আদায় বাড়ানোর ক্ষেত্রে করের হার না বাড়িয়ে বরং কর জাল বাড়ানোর পক্ষেই অবস্থান বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদের।

অর্থনীতিবিদ মোস্তাফিজ বলেন, “ইনকাম ট্যাক্স বলি আর করপোরেট ট্যাক্স বলি, যারা কর জালে আছে, তাদেরকে ঝামেলায় না ফেলে এর ভিত্তিটা কীভাবে আরও বাড়ানো যায়, তার চেষ্টা করা। অনলাইন ট্যাক্স সাবমিশনের কথা বলা হয়েছে, এটা ভালো। আরো ডিজিটালাইজেশন ইত্যাদি করে করজাল আরও প্রশস্ত করার দিকে নজর দেওয়া যেতে পারে।“

ব্যয়ের ক্ষেত্রে তিনি বলেন, “প্রকল্পগুলো সময়মতো বাস্তবায়ন করতে হবে। সমাপ্য প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন করতে হবে আগে।

“আমাদের পাইপলাইনে যে বিদেশি সহায়তা আছে, সেটা যাতে দ্রুত বাস্তবায়ন করা যায়, ডিসবারস করা যায়, সেই কার্যক্রম জোরদার করা দরকার।”

বিনিয়োগ পরিবেশ নিশ্চিতের দিকেও জোর দেন তিনি।

কর না বাড়িয়ে কর ফাঁকি ধরার পরামর্শ অর্থনীতিবিদ জাহিদ হোসেনের।

তার ভাষ্য, “রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যটা যেন অর্জনযোগ্য হয়। সবকিছু সংস্কার করে আপনি এখনই রাজস্ব আদায় বাড়াবেন, এটা আশা করাটা বাস্তবসম্মত নয়।

“আর এখানে সহজ পথ দিয়ে চলার একটা প্রবণতা থাকতে পারে যে, রেভিনিউ জেনারেশন বাড়াইতে হবে, সেজন্য ট্যাক্স রেট বাড়িয়ে দিলাম, ভ্যাট বাড়িয়ে দিলাম, এসডি রেট বাড়িয়ে দিলাম। ওইটা তো সহজ পথ, কিন্তু ওইটা তো আবার মানুষের এই উচ্চ মূল্যের সময় কষ্ট বাড়াবে। তো ওই পথে যেন আমরা না হাঁটি।”

মির্জ্জা আজিজুল বলছেন, “এখন প্রথমত দেখতে হবে, আমাদের সার্বিক পরিস্থিতিটা কী। তো আমরা প্রথমে দেখতে পাই যে বাজেটের যে কয়েকটি দিক আছে- রাজস্ব আহরণ, ব্যয়ের মাত্রা নির্ধারণ ও ঘাটতি বাজেট। অবশ্যই আমাদের দৃষ্টি ঘাটতি বাজেটে।

“সেই ঘাটতি কীভাবে পূরণ হবে, সেদিকটায় অবশ্যই দৃষ্টি দেওয়া লাগবে।”

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *