সিলেট নগরীর ঐতিহ্যবাহী ক্বীন ব্রিজে দীর্ঘদিন ধরে স্ট্রিটলাইটের বাল্বগুলো অচল হয়ে পড়ে রয়েছে। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই পুরো ব্রিজ এলাকা অন্ধকারে ঢেকে যায়। আর এই অন্ধকারের সুযোগ নিচ্ছে অপরাধীরা—বাড়ছে ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড।নগরবাসীর অভিযোগ, সন্ধ্যার পর ব্রিজে চলাচল করাটা হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ। পথচারী ও মোটরসাইকেল আরোহীরা নিয়মিতই ছিনতাই ও চুরি-ডাকাতির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে নারীরা ব্রিজ দিয়ে চলাচল করতে ভয় পাচ্ছেন।সরেজমিনে দেখা যায়, সিলেটের ঐতিয়্যবাহী ক্বীন ব্রিজের উত্তর দিকের ফটক থেকে দক্ষিণ দিকের ফটক পর্যন্ত স্থানের প্রতিটি বাতি নষ্ট। পাশাপাশি এখানে একদল যুবক অবাধে বসে মাদক সেবন করছে। মাঝেমধ্যে দু-একটি মোটরসাইকেল পারাপার হলেও পুরো ব্রিজটি যেন এক ভয়ংকর ভুতুড়ে ব্রিজে পরিণত হয়েছে।
স্থানীয় এক পথচারী আব্দুল হাকিম বলেন, ‘প্রতিদিন সন্ধ্যার পর ব্রিজে অন্ধকার নেমে আসে। ছিনতাইকারীরা সুযোগ পায়। কয়েকদিন আগে এক যুবকের মোবাইল ছিনিয়ে নেয়া হয় আমার চোখের সামনে।’এ বিষয়ে সিলেট সিটি করপোরেশনের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ‘আমরা সমস্যাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে বাল্ব পরিবর্তন ও লাইটিং ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।’
এদিকে স্থানীয়রা দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন। তারা দাবি জানিয়েছেন, ক্বীন ব্রিজে নিরাপত্তা জোরদার করতে পুলিশ টহল বাড়ানো ও স্থায়ী আলো ব্যবস্থা চালু করার।
উল্লেখ্য, ক্বীন ব্রিজ সিলেটের একটি ঐতিহাসিক স্থাপনা, যা প্রতিদিন হাজারো মানুষ ব্যবহার করেন। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অন্ধকারের রাজত্ব ও প্রশাসনের নিরবতা জনমনে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।এদিকে সিলেটের বিদুৎ বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলে ফোনকলটি বন্ধ পাওয়া যায়।এদিকে সিলেট মেট্টোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, সিলেট নগরীতে অপরাধ রুখতে সব সময় পুলিশ সজাগ রয়েছে। পাশাপাশি রাতে বিশেষ করে, নগরীর গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশের টহল টিমে বৃদ্ধি করা হয়েছে।’
শেয়ার করুন