মো আরিফুল ইসলাম সিকদার:
পার্বত্য রাঙ্গামাটি জেলাতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামীলীগের অন্যতম বৃহৎ ঘাটিঁ হিসেবে পরিচিত লংগদু।বর্তমানে উক্ত উপজেলায় আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন কোন্দল নিরসনে জেলা আওয়ামীলীগের হস্তক্ষেপ চেয়ে তৃণমুল নেতাকর্মীদের ব্যানারে সংবাদ সম্মেলন করেছে নেতাকর্মীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি প্রেসক্লাবে আয়োজিত উক্ত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য ও সাংবাদিক বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবের মধ্যদিয়ে নেতৃবৃন্দ বলেন, লংগদু উপজেলায় বিএনপি-জামায়াত থেকে আওয়ামীলীগে যোগ দেয়া হাইব্রিড নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বে দলীয় কোন্দল চরম আকার ধারন করেছে।
ইতিমধ্যেই এই অর্ন্তকোন্দলে আওয়ামীলীগের দূর্গ হিসেবে পরিচিত লংগদু উপজেলায় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরোধ সৃষ্টির পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রম ভেঙ্গে পড়েছে। যার সুদূর প্রসারি প্রভাব পড়বে আগামী সংসদ নির্বাচনে। এই অবস্থা থেকে উত্তরনে প্রয়োজনীয় কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মূছা মাতব্বর এর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংবাদ সম্মেলন আয়োজনকারি আওয়ামী নেতৃবৃন্দরা।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম কামাল, উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতা মোহাম্মদ নাসিমুল গনি, নজরুল ইসলাম, জমশেদ আলী, অমর আলী, রেজাউল করিমসহ তৃণমূল আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, সংবাদ সম্মেলনে উত্থাপিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে বক্তব্য জানতে যোগাযোগ করলে লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বাবু দাশ জানিয়েছেন, আমি ছাত্রলীগ থেকে রাজনীতি করে আওয়ামীলীগে এসে সাধারণ সম্পাদক হয়েছি।
যারা আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেছে তারা সকলেই দলের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিগত ইউপি নির্বাচনে দলীয় নৌকা প্রতিকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থির নির্বাচনে অংশ নিয়েছে। তাই দলের হাইকমান্ড তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়েছে।
এই ঘটনার পরবর্তী সামান্য তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অহেতুক ভাবে দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়ে বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার জন্ম দিচ্ছে। তিনি বলেন, আমাদের দলের মধ্যে কোনো বিরোধ নাই। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকারি কামাল নিজেও দলের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছে।
এছাড়াও লংগদু উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজু নিজেও ছাত্রদলের নেতা ছিলেন জানিয়ে বাবু জানান, এদের দিয়ে যা কিছু বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে তার সবটুকুই গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ বিশেষ। তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমি দলকে সংগঠিত করতে যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজি আছি।
এরআগে লংগদু উপজেলা আওয়ামীলীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাবেক সভাপতি আব্দুল বারেক সরকারের বিরুদ্ধে ইউপি নেতাকে মারধর ও জুতাপেটা করার প্রতিবাদ জানিয়ে লংগদু উপজেলা সদরে সংবাদ সম্মেলন করেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। এই সংবাদ সম্মেলনের পাল্টা হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার রাঙামাটি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতাকর্মীরা।
শেয়ার করুন