আগামী বছরের (২০২৫ সালের) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত আলোচনা চলছে নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে। এ বিষয়ে আগামী সপ্তাহে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলে জানিয়েছেন আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
শনিবার (০২ নভেম্বর) টেলিফোনে তিনি দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেছেন, ঈদুল ফিতরের পর এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি এ পরীক্ষা শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়নি। আলোচনা চলছে, আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসবে বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। আসন্ন এসব পরীক্ষা পেছানো হবে কি-না, সে বিষয়েও আগামী সপ্তাহে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
তবে প্রাথমিক আলোচনায় আসছে এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি সময়ে এসএসসি, আর জুন মাসের শেষের দিকে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার বিষয়ে শোনা যাচ্ছে। সব বিষয়ে পূর্ণ নম্বর ও সময়ে দেশের বড় দুই পাবলিক পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তারা।
এর মধ্যে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১ ডিসেম্বর থেকে। সেজন্য আগামী ২৭ নভেম্বরের মধ্যে এসএসসির নির্বাচনি বা টেস্ট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে বলা হয়েছে মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুলগুলোকে।
স্বাভাবিক নিয়মে এসএসসি ও এইচএসসিতে প্রতিটি বিষয় বা পত্রের পরীক্ষা হয় তিন ঘণ্টা। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) নম্বর বিভাজন অনুযায়ী, প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে।
এছাড়াও বাংলা, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান বা ইসলামের ইতিহাসের মত তত্ত্বীয় বিষয়গুলোতে প্রতি পত্রে ৩০ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৭০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন হবে। তবে ইংরেজির প্রতিটি পত্রে মোট ১০০ নম্বরের সৃজনশীল পরীক্ষা হতে পারে।
আর পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বা ভূগোলের মত ব্যবহারিক বিষয়গুলোর প্রতি পত্রে ২৫ নম্বরের ব্যবহারিক পরীক্ষা ও ৭৫ নম্বরের তত্ত্বীয় পরীক্ষা হবে। এ বিষয়গুলোতে তত্ত্বীয় অংশে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি ও ৫০ নম্বরের সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে পরীক্ষার্থীদের জন্য।
পরীক্ষার্থীরা মোট তিন ঘণ্টার মধ্যে প্রথম ৩০ মিনিট বহুনির্বাচনি প্রশ্নের উত্তর করতে হবে। আর বাকি ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সুযোগ পাবেন।