হাড়কাঁপানো শীতে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে স্বাভাবিক জনজীবন। শুধু গ্রামাঞ্চলেই নয়, শহরের দিকেও লোকজন ঠাণ্ডা ও শৈত্যপ্রবাহে জবুথুবু হয়ে পড়েছে।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর সর্বশেষ আপডেটে জানিয়েছে, আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামীতে দিনের তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকবে বলে ওয়েদার ডট কমের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে আজও দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলায়। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো শ্রীমঙ্গলে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে।
বুধবার (৪ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক আনিছুর বলেন, “আজ সকাল নয়টায় রেকর্ড করার পর তাপমাত্রা ছিল ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা দেশে সর্বনিম্ন।”
গতকালও দেশের সর্বনিম্ন ছিল এই অঞ্চলে, ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আনিছুর রহমান আরও জানান, আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা ওঠানামা করতে পারে তবে একটানা পাঁচদিন তাপমাত্রা তেমন বাড়েনি এই অঞ্চলে।
গত কয়েকদিন ধরেই শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজার জেলা ঘনকুয়াশায় ঢাকা পড়ে আছে।
যতই দিন যাচ্ছে, তাপমাত্রার পারদ ততই নিচের দিকে নামছে। ছিন্নমূল মানুষ ও চা শ্রমিকরা তীব্র শীতের কবলে। ভোরে ঘন কুয়াশা আর কনকনে ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়েছেন এ জনপদের মানুষ।
শীতবস্ত্রের অভাবে চা বাগান এলাকার শ্রমিকেরা সকালের দিকে গাছের পাতা, লাকড়ি কুড়িয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করেছেন।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আর্কাইভ সূত্রে জানা যায়, ১৯৬৮ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি শ্রীমঙ্গলে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ১৯৬৬ সালের ২৯ জানুয়ারি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯৯৫ সালের ৪ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের ১৭ জানুয়ারি এবং ২০১৩ সালের ১০ জানুয়ারি শ্রীমঙ্গল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং এটি দেশের কোথাও কোথাও দুপুর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
তবে সারাদেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শেয়ার করুন