আজ শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদারের মৃত্যুবার্ষিকী

জাতীয়

স্বীকৃতি বিশ্বাস স্টাফ রিপোর্টারঃ

আাজ ২ জানুয়ারি শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদারের ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
দিবসটি উপলক্ষে পুরাতন শ্যামলী সিনেমা হল থেকে প্রভাতফেরী শেষে সকাল ৯ টায় সিরাজ সিকদারের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

পরে জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শান্তনু সুমনের সঞ্চালনায় এবং শহীদ বিপ্লবী ও দেশপ্রেমিক স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাসান ফকরীর সভাপতিত্বে টিএসসির সড়কদ্বীপে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি বিডি রহমতুল্লাহ, নয়াগণতান্ত্রিক গণমোর্চার সভাপতি জাফর হোসেন, জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের সভাপতি মাসুদ খান, খনন পত্রিকার সম্পাদক বাদল শাহ আলম, বাংলাদেশের সাম্যবাদী আন্দোলনের সভাপতি শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, গরীবের চিকিৎসক ড. হারুন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সম্পাদক ফায়জুল হাকিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের খলিলুর রহমান সহ আরও অনেকেই।
সভায় বক্তারা বলেন- চলমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদকে হঠিয়ে জনগণের রাষ্ট্র সরকার সংবিধান প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া মুক্তির কোন বিকল্প নেই। এছাড়াও রুশ মার্কিনের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামরিক হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
দিবসটি উপলক্ষে
আজ সোমবার সন্ধ্যায় মহান মাওবাদী নেতা শহীদ কমরেড সিরাজ সিকদার- এর ৪৮ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে কমরেড মনিরুজ্জামান তারা, মোফাখখার চৌধুরী, মিজানুর রহমান টুটু, এরাদ আলী, তাহের আজমী, রাবেয়া আক্তার বেলীসহ সকল শহীদ বিপ্লবী স্মরণে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কমরেড খবির শিকদার। এসময় উপস্থিত ছিলেন কমরেড রবিন কমরেড শাহিন কমরেড কুদ্দুস কমরেড শহর প্রমূখ।

কমরেড সিরাজ সিকদার একজন অকুতোভয় দেশপ্রেমিক, যার অস্তিত্ব ছড়িয়ে আছে স্বদেশের প্রতিটি কোণায় কোণায়। তিনি অনুধাবন করতে সমর্থ হয়েছিলেন যে, মানুষের প্রকৃত মুক্তির জন্য বিপ্লবের কোন বিকল্প নেই। সিরাজ সিকদার ১৯৪৪ সালের ২৭ অক্টোবর শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। এই বিপ্লবী ১৯৭৫ সালের প্রথম দিনেই রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসীদের হাতে বন্দি ও পরদিন ২ জানুয়ারি উর্দি পরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন। আর এর মাধ্যমেই শুরু হয় স্বাধীন বাংলাদেশে বিচার বহির্ভুত হত্যা, ‘ক্রসফায়ার’ কালচারের এক কলুষিত অধ্যায়। যার ধারকেরা এখনো এটি বয়ে বেড়াচ্ছেন।
উল্লেখ্য এদেশের গণতান্ত্রিক ও বিপ্লবী সংগ্রামে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের স্মরণে এই দিনটি শ্রদ্ধার সাথে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *