আদালতের নির্দেশ উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন করার অভিযোগ।

জাতীয়

কমলগঞ্জ উপজেলা প্রতিনিধি-

আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও ভোটার তালিকায় আবারো নাম ভুলের অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনে।রোববার কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ প্রদান করেন বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোহাম্মদ নূরুল মোহাইমীন।অভিযোগে ভোটার তালিকায় নাম ভুল থাকার কারণে তফশীল স্থগিত পূর্বক নাম সংশোধনের পর নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানান।
অভিভাবকের লিখিত অভিযোগ থেকে জানা যায়,গত ২৮ জুলাই চুড়ান্ত ভোটার তালিকার ৪৮৯ নম্বর ক্রমিকে “মো: নুরুল” নামে অসম্পূর্ণ ও ভুলভাবে লিপিবদ্ধ দেখতে পান। নামের পাশে তাঁর জাতীয় পরিচয়পত্রের সঠিক নম্বর-৫৮১৫৬৬৬৯২৮৪১২ লিপিবদ্ধ রয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কয়েক মাস পূর্বে ঐ অভিভাবকের শিক্ষার্থীর মাধ্যমে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়ে ভোটার তালিকা তৈরির পরও নামে ভুল করা হয়েছে।

হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে
ভোটার তালিকায় নামের ভুলের কারণে বিগত ২০২০ সনের ১৬ ফেব্রুয়ারী তারিখে জনৈক অভিভাবক কমলগঞ্জ সহকারি জজ আদালত, মৌলভীবাজারে মামলা দায়ের করেন। আদালত পর্যালোচনার পর আদেশ প্রদান করেন যে, আগামী ১০ মার্চ ২০২০ইং পর্যন্ত নির্বাচন স্থগিত করা হল এবং ত্রুটিমুক্ত ভোটার তালিকা প্রনয়ন করে তৎপরবর্তী ২৫ মার্চ ২০২০ইং তারিখ অর্থাৎ ১৫ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য উভয়পক্ষকে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশ থাকা সত্বেও নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন না করে এডহক কমিটি করে দুই বছর যাবত বিদ্যালয় পরিচালিত হয়ে আসছে।গত ৩রা জুলাই হতে ১৯ জুলাই পর্যন্ত গ্রীষ্মকালীন ও ঈদের ছুটি থাকার সময়ে গত ১৮ জুলাই বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটি নির্বাচনের তফশীল ঘোষণা করেন।পুনরায় ভুল ও অসম্পূর্ণ নাম দিয়ে চুড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়, তফশীল অনুযায়ী আগামী ৮ই আগষ্ট নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

অভিযোগকারী অভিভাবক মোহাম্মদ নূরুল মোহাইমীন বলেন, আমার পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখে ভুল এবং অসম্পূর্ণ নাম দিয়ে ভোটার তালিকা তৈরি করা হয়েছে। নামের ভুল খুবই মারাত্মক বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি। নির্বাচনের পূর্বে নাম সংশোধনের কোন আশ্বাস না পাওয়ায় আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
অভিযোগ বিষয়ে হাজী মো: উস্তওয়ার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নূরে আলম সিদ্দিক বলেন, ওই অভিভাবককে বলেছি ইউএনও স্যারের সাথে আলোচনাক্রমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও প্রিসাইডিং অফিসার শামসুন্নাহার পারভীন বলেন, আমি অনুলিপি পেয়েছি। ইউএনও মহোদয় যে নির্দেশনা দিবেন সে মোতাবেকই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিফাত উদ্দিন লিখিত অভিযোগ প্রাপ্তির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমি তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *