দীর্ঘদিন পর ফুটবল মাঠে দেখা মিললো সাম্বা নৃত্যের। হলুদ-নীল জার্সিধারীদের সেই নাচে বিমোহিত হলো ফুটবলবিশ্ব। গতকাল নাইন সেভেন ফোর স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সাম্বা ছন্দের ঝড় তুলে ব্রাজিল ৪-১ গোলে হারাল দক্ষিণ কোরিয়াকে। টানা অষ্টমবারের মতো বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করল সিলেকাওরা।
১৯৯০ সালে শেষবার শেষ ষোলো খেলে বিদায় নিয়েছিল হলুদ জার্সিধারীরা। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিল মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়ার (৯ নভেম্বর)। গতকাল ক্রোটরা ১-১ গোলে ড্রয়ের পর টাইব্রেকারে জাপানকে হারিয়েছে ৩-১ ব্যবধানে। একই রাতে দুই এশিয়ান দল বিদায় নিয়েছে বিশ্বকাপ থেকে।
বিশ্বকাপের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা ট্রেনিং নিয়েছিলেন নেইমাররা। মিডিয়ায় সেই ট্রেনিংয়ের খবরটা প্রকাশও হয়েছিল বেশ ঘটা করে। বিশ্বকাপের ম্যাচে গোল করার পর কীভাবে উদযাপন করবে ব্রাজিল! নেচে নেচে। সেই নাচও আবার এক রকমের হলে হবে না। একেক গোলের পর একেক নাচ। গতকাল ভিনিসাসের গোলের (৭ মিনিট) পর ব্রাজিলের ফুটবলাররা একে অপরের সঙ্গে মিলে এক অ™ভুত নাচ নাচলেন। নেইমারের পেনাল্টি গোলের (১৩ মিনিট) পরও ছিল নাচ। ২৯ মিনিটে গোলের পর রিচার্লিসন সতীর্থদের সঙ্গে উৎসব সেরে ছুটে যান কোচ তিতের কাছে। প্রফেসর খ্যাতি পাওয়া কোচকেও নাচতে বাধ্য করেন তিনি। শিষ্যের অনুরোধ রাখতে হাসতে হাসতেই নাচে অংশ নেন তিতে। লুকাস পাকেতার গোলের (৩৬ মিনিট) পরও ছিল নাচের প্রদর্শনী। এসব নাচের কী যে নাম, তা কেবল নাচ বিশারদরাই বলতে পারেন। তবে সাম্বা ছন্দের ফুটবলের পর এসব নাচও ছিল দর্শকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণীয়। ব্রাজিল প্রথমার্ধেই চার গোল দিয়ে ম্যাচের পরিণতি জানিয়ে রাখে দর্শকদের।
২০১৪ সালে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ব্রাজিলের বিপক্ষে প্রথমার্ধে চার গোল করেছিল জার্মানি। এরপর ব্রাজিলই প্রথম বিশ্বকাপের নকআউট পর্বের ম্যাচে প্রথমার্ধে চার গোল করা প্রথম দল। ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে পাইক সিয়াঙ হো (৭৬ মিনিট) একটা গোল করে ব্যবধান কমান। দ্বিতীয়ার্ধে ব্রাজিল বেশ কয়েকবার সুযোগ পেয়েও আর গোলের দেখা পায়নি।
শেয়ার করুন