ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আবু সাদিক বলেছেন, আমাদের জাতীয় ঐক্যের প্রতীক শহীদ আবরার ফাহাদ। ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এবং দেশের সার্বভৌমত্বের হুমকির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের সম্মুখ সেনাপতি আমাদের প্রিয় আবরার ফাহাদ। নির্যাতিত মজলুম ছাত্র-জনতা আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে জাতির এই সূর্যসন্তানকে।
আজ রবিবার (৬ অক্টোবর) নিজের ফেসবুক আইডি করা এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।
পোস্টে তিনি বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব বিক্রি করে, দেশকে পরিণত করেছিল ভারতের অঘোষিত কলোনিতে। ভারতের হয়ে নিজ দেশের নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার ভূলুণ্ঠিত করা এবং দেশের সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক স্বকীয়তাকে পরজীবীকরণ করার হীন কৌশল অবলম্বন করেছিলো পতিত স্বৈরাচার হাসিনা।
এই আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে যারা হুমকি হিসেবে দাঁড়িয়েছিল, তারাই ফ্যাসিস্টের রক্তচক্ষুতে পরিণত হয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্বের রক্ষাকবচ হিসেবে যাদেরই আবির্ভাব ঘটেছে, তাদেরকেই বরণ করতে হয়েছে মৃত্যুর মতো নির্মম পরিণতি।
আবরার ফাহাদ হত্যার দায় শুধু ওই ঘাতক দলেরই না উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, এই দায় তাদেরও যারা ছাত্রশিবিরের সাথে যুক্ত থাকলেই নিপীড়ন করাকে বৈধতা দিয়েছিল। স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আবরার ফাহাদের পূর্বে ছাত্রলীগের টর্চার সেলে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ও বুয়েটের ছাত্র সিরাজুল ইসলামসহ বহু ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী এবং সাধারণ শিক্ষার্থী নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়েছিলো। কিন্তু ভারতের দোসর ও ইসলামোফোবিক একটা পক্ষ এই নির্মম নিপীড়নে শুধু চুপই থাকে নাই, বরং সক্রিয় সমর্থনও দিয়েছিল।
‘আল্লাহ শহীদ হিসেবে আবরার ফাহাদকে কবুল করুন এবং জান্নাতের উচ্চ মাকামে পুরস্কৃত করুন। আবরার ফাহাদের শাহাদাত যেন নিপীড়নকে বৈধতা দানকারী ওই দোসর গোষ্ঠীর শুভবুদ্ধির উদয় ঘটায়, আল্লাহ তায়া’লার কাছে এই কামনা করি।
ইনকিলাব জিন্দাবাদ, আজাদী জিন্দাবাদ।’