আমার কৃতকর্মের জন্য আমি দায়ী হতে পারি, আমার মাছুম বাচ্ছাদের কি অপরাধ! সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার তুহিন

সিলেট

ডেস্ক নিউজ :

২৬ নভেম্বর ২০২২ ইং রোজ শনিবার সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাব এর সংবাদ সম্মেলনে আবুল বাশার তুহিন এর পক্ষে তাহার লিখিত বক্তব্য পাঠ করেছেন তাহার মেয়ে রোকসানা আক্তার। সিলেট বিভাগীয় প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, আবুল বাশার তুহিন (৫৫), পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলী হায়দার। আমি একজন পঙ্গু মানুষ এবং বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার ৫ নং দৌলতপুর ইউনিয়নের দূর্য্যাকাপন গ্রামের বাসিন্দা। এই মুর্হুতে আমার সাথে আছেন, আমার স্ত্রী মোছা: ছমিরুন বেগম (৪২, মেয়ে রোকসানা আক্তার (১৮) সুলতানা ইয়াসমিন মুন্নি (১৫) তামান্না আক্তার তুন্নি (১০) এবং আমার ছেলে মুহিন হাওলাদার (১৬) ও মাহিন হাওলাদার (১৩)।

আমার পৈত্রিক নিবাস খুলনা বিভাগের বাঘেরহাট জেলায় এবং আমার পিতা একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা (সনদ নং ৫০৪৮৪) এবং লাল মুক্তিবার্তা নং ৪০৩০৫০১১৫। জীবন-জিবিকার তাগিদে আমি সিলেট চলে আসি এবং গত ০১/০২/২০১৬খ্রিঃ আমি ও আমার স্ত্রী সমিরুন বেগম এর নামে দৌলতপুর ইউনিয়নের দূর্য্যাকাপন মৌজায় মরহুম ফয়েজ উল্যাহর ছেলে আরশ আলীর নিকট থেকে রেজিষ্ট্রারী সাফ কবালা দলিল মুলে ৭২৪০০০/- সাত লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা দাম সাব্যস্তক্রমে, সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করে ছেলে-মেয়ের মাতা গুজার টাই হিসেবে ৩১ শতক স্থাপনা বিহান বাড়ী রকম ভূমি ক্রয় করে, তাতে বাড়ী নিমার্ণ করে শান্তিপূর্ণ ভাবে বসবাস করিয়া আসিতেছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো আমি সেখানে বাড়ী তৈরী করে আমার প্রয়াত পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আলী হায়দারের নামে আমার বাড়ীতে একটি সাইনবোর্ড লাগাই এবং কয়েকদিন পরই এলাকার কিছু পরশ্রীকাতর লোক সেই সাইনর্বোড ভেঙ্গে দেয়।

আমি প্রতিবাদ করলে তারা আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে এবং এক পর্যায়ে আমার বাড়ীতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে আমার বসত ঘরে ডুকে প্রচুর ভাংচুর করে এবং আমি ও আমার স্ত্রী কে মার-ধর করে আহত করে। আমি আদালতে মামলা দায়ের করি, এক পর্যায়ে এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিদের কথায় মামলা তুলে নিয়ে আপোষ করি। এক বিংশ শতাব্দীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আমার সাতজন ছেলে-মেয়ে নিয়ে আমি আজ সত্যি সত্যিই বড় অসহায়। স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়ে এবং ছেলে যখন কান্নাজড়িত কন্ঠে আমার কাছে এলাকার বখাটে লোকদের ইভটিজিং এর শিকার হয়ে নালিশ করে, তখন একজন পঙ্গু পিতা হিসেবে আমার এক বুক নীল নিশ্বাস ছাড়া আর কিছুই করার থাকেনা, ইচ্ছে করে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করি।

কারণ এসবের প্রতিবাদ করলেই মিথ্যা মামলা/হামলার স্বীকার হতে হয় এবং আজ আপনাদের মাধ্যমে আমি এটা স্বীকার করছি যে, দোষে গুনেই তো মানুষ। আমার কৃতকর্মের জন্য আমি দায়ী হতে পারি এবং সে ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী এবং গ্রাম পঞ্চায়েত আছে, সর্বোপরি আদালত বিচার করবেন কিন্তু যদি এলাকার কতিপয় দুষ্কৃতকারী লোক আক্রোশান্বিত হয়ে আমার মাছুম বাচ্ছাদের মসজিদ/মক্তব ও স্কুল-কলেজে যেতে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে এমনকি আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ের পিছন থেকে ভিডিও করে সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল করে উল্টো হুমকি/দামকি দেয় তখন কী করবো আমি? তাই আপনাদের মাধ্যমে জানাতে চাই, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট আমার আকুল আবেদন মানবতার মা হিসেবে আপনি আমার অসহায় পরিবার ও ছেলে-মেয়ের ভবিষৎ এর দিকে তাকিয়ে একটি অসহায় মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে বাঁচাতে এগিয়ে আসুন। উল্লেখ্য যে, চলতি মাসের ২০ তারিখে একটি মামলার হাজিরা দিতে আমি আমার স্ত্রী কে সাথে নিয়ে সিলেট আদালতে যাই এবং হাজিরা দিয়ে যখন বাড়ীতে পেীছাই। তখন সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিট, পরদিন জানতে পারি যে, বিশ্বনাথ থানায় একটি মাদক মামলা হয়েছে এবং ২ জন আসামীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে ঐ আসামিরা নাকি আমার স্ত্রীর নাম বলেছে, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে সেই মামলায় আমার স্ত্রী ছমিরুন বেগম কে আসামী করা হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *