বাংলাদেশের ইনিংসের ১৬.২তম ওভারের ঘটনা। ওটনিয়েল বার্টমানের বলে ফ্লিক করতে চেয়েও পারেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তার প্যাডে লেগে বল চলে যায় বাউন্ডারিতে। ওই মুহূর্তেই এলবির আবেদন তোলে দক্ষিণ আফ্রিকা। সঙ্গে সঙ্গে তাতে সাড়া দিয়ে আঙ্গুল তুলে দেন আম্পায়ার।
কিন্তু নিজের জায়গায় মাহমুদউল্লাহ ছিলেন স্পষ্ট। তাই নিয়ে নেন রিভিউ। টিভি রিপ্লেতে পাল্টে যায় সিদ্ধান্ত। ক্ষমা চেয়ে আম্পায়ারও সিদ্ধান্ত বদলে নেন!
কিন্তু আম্পায়ারের ওই ভুল সিদ্ধান্তই শেষ পর্যন্ত কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশের। কারণ সে সময় সিদ্ধান্ত বদলালেও লেগ বাই থেকে পাওয়া চারটি রান আর পায়নি বাংলাদেশ। নিয়ম অনুসারে, আউট দিলে ওই বল থেকে আসা রান ডেড হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু সিদ্ধান্ত বদলে ওই আউটের সমীকরণ বদলালেও রানটা ডেডই ছিল। কম রানের ম্যাচে ওই চারটি রান হারিয়ে শেষ পর্যন্ত মাশুল দিতে হলো বাংলাদেশকে।
ম্যাচটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ওই চার রানেই হেরে গেল বাংলাদেশ। নিয়ম অনুসারে প্রাপ্য ৪ রান পেলে নাসাউতে ম্যাচের ভাগ্য উল্টো হতে পারতো। আম্পায়ারের ওই এক সিদ্ধান্তে বিশ্বকাপে ২১তম ম্যাচে কপাল পুড়ল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদদের।
ক্রিকেটের ক্ষুদ্র সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ের জন্য অপেক্ষা বহুদিনের! আগের আট দেখায় একবারও মেলেনি জয়ের হাসি। এবার সেই আক্ষেপ মেটানোর বড় সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারল না বাংলাদেশ। বিশ্ব মঞ্চে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারল ৪ রানের ব্যবধানে। এই নিয়ে টানা তিন জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইট নিশ্চিত করল দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে দুই ম্যাচ খেলা বাংলাদেশ দেখল প্রথম হারের দেখা।
বিশ্বকাপের ২১তম ম্যাচে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। জবাব দিতে নেমে নাসাউর মন্থর উইকেটের চ্যালেঞ্জের মুখে বাংলাদেশ থেমে যায় ১০৯ রানে।
শেয়ার করুন