হবিগঞ্জের বাহুবলে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে কথা কাটাকাটির জেরে শহিদ মিয়া (৫০) হত্যার ঘটনায় শেকুল মিয়া (৩০) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ তথ্য জানান বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান।
গ্রেফতারকৃত শেকুল মিয়া উপজেলার আদিত্যপুর গ্রামের মৃত ফটিক মিয়ার ছেলে।
শহিদ মিয়া হত্যার পেছনে রয়েছে রাস্তা নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে বলে জানা গেছে ।
এ ঘটনায় গত রোববার (১১ ডিসেম্বর) নিহতের ভাই মাসুক মিয়া ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাহুবল মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
এতে তিনি রাস্তা নিয়ে পারিবারিকভাবে পূর্ব বিরোধের বিষয়টি উল্লেখ করেন।ওই মামলার এজাহারনামীয় আসামি শেকুল মিয়া।
মামলা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাতকাপন ইউনিয়নের আদিত্যপুর গ্রামের মৃত দেওয়ান আলীর ছেলে শহিদ মিয়ার বাড়ির সীমানা নিয়ে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত লোকজনের পূর্ব বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হয়রানিসহ নানা রকমের হুমকি দিয়ে আসছিল।
গত শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে ফুটবল বিশ্বকাপের ব্রাজিল-ক্রোয়েশিয়ার খেলা নিয়ে নিহত শহিদ মিয়ার ছেলে রোকন মিয়ার সঙ্গে রুবেল মিয়ার বাকবিতণ্ডা হয়।
তাৎক্ষণিকভাবে স্থানীয়রা বিষয়টি মিমাংসা করে দিলেও আসামিরা হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়।
পরদিন শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শহিদ মিয়া বাড়ির পার্শ্ববর্তী কচুবিল থেকে ধানের খড় মাথায় নিয়ে বাড়িতে ফেরার পথে একা পেয়ে কয়েকজন তার ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে হামলাকারীদের আঘাতে গুরুতর আহত হন শহিদ মিয়া।
পরে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
এব্যাপারে বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুল ইসলাম খান বলেন, শেকুল হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার রোকনপুর গ্রামে একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে বাহুবল মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রজিত কুমার দাশ সেখান থেকে তাকে গ্রেফতার করেছেন। শেকুল হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি।
শেয়ার করুন