সহকারী শিক্ষক
উত্তরা স্কুল এন্ড কলেজ,ঢাকা…..
কতো দিবস ধরে হেঁটেছি সেই প্রাতঃ থেকে দুপুর, দুপুর থেকে ঘন আঁধার
প্রশান্ত সমুদ্রের ফেনায় হয়েছি পার
দূর তারার ইশারায় তাকালেও দেখিনি
যদি ভুলে যাই তোমার দীপ শিখা মুখ খানি।
শত ঢেউয়ে ভেসে তার দোলাকেও ভাবিনি সুখ মাখা সে দোল।
তোমার কোলেতে ঘুমানো
স্নিগ্ধ শ্বাসের গন্ধ লাগানো
যদি ভুলে যাই, পূবেলা আঁধারে টিপ পরা ঐ আলোকে
ভাঁট, কাঞ্চনের নিয়েরে ভেজা ফুল না হবে দেখা পুলকে।
যা দেখার মধ্যে দেখেছি সে রূপ গর্ভ ভরা ধানের ঝাপটা, ঢেউয়েতে করছে খেলা
উড়া ভ্রমর যখন বসে ফুলে
কৃষ্ণ রূপটা তখন ওঠে জ্বলে।
তোমার চোখের কাজল টুকু যে হায়
মিষ্টি লালের কুরুচ ফলে যেমনটি দেখা যায়।
কোন দিগন্তের নীল ভেদা আলো মেখেছো শ্যামল মুখে
গুল্ম লতার ঝুমকা ফুলটা ঝোলে যেন ঐ নাকে।
জীবন সমস্ত ধরে, উদোম শিশু হয়ে নিত্য খেলাতে মাতি
খাল জলে ঝাপা-ঝাপি
কাদা নিয়ে মাখা মাখি
সূ্র্য পাটে যখন সারি ধরে কাক দল
দূর শূন্যে মিলানের মতো মিশে যাই তার পিছে
আবার আসিবো, আবার খেলিবো ভাবাটি নয়তো মিছে।
দেখেও না দেখা ভাবে, চলেছি অচেনা পথে
অজানা প্রান্তর ধরে ভূঁইচাঁপা গালিচা বেয়ে
যেখানে ধূবলা, ভাদলা ঘাসে ঝরা শিশিরে
মুক্তা কুচি থেকে থেকে দেয় ছিটিয়ে।
যেন ধূলা ভরা পা ধূয়ে দিলো ভালো বেসে,
হাতিশুঁড়ী ফুল ঘোমটা আদোলে দেখে বুঝি দিলো হেসে।
দেখিলাম শুধু ধোয়ানো ভেজা পা
দেখেও না বুঝি স্নেহ-পরশ মাখা ছিল যে কতো তাতে।
সরোস আদোরে শিশুর কপালে
যেন মা’য়ে ওষ্ঠোচিহ্ন আঁকে।