পবিত্র রমজান মাসের ইফতারকে বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি দিল জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। করাচিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, বুধবার এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ইফতারকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ’ তালিকায় যুক্ত করেছে ইউনেস্কো।
মুসলমানদের কাছে পরিত্র রজমান মাস অনেক ফজিলতের। এই মাসে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থেকে রোজা পালন করেন মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা। এরপর সন্ধ্যায় মাগরিবের আজানের সময় পানি পান ও ফলমূল খেয়ে পূর্ণ করা হয় রোজা। এই পানাহারকে বলা হয়ে থাকে ‘ইফতার’।
ইফতারকে সামাজিক–সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যৌথভাবে আবেদন করেছিল ইরান, তুরস্ক, আজারবাইজান ও উজবেকিস্তান। ইউনেস্কো বলছে, ‘ইফতার (ইফতারি বা ইফতর হিসেবেও পরিচিত) রমজান মাসে প্রতিদিন সূর্যাস্তের পর মুসলমানরা ইফতার করেন। ধর্মীয় রীতি হিসেবেই এই ইফতার।’
রমজান মাসের ইফতারের সময় পরিবারের কিংবা এলাকার সবাই একসাথে হন। এরপর একত্রে মাগরিবের আজানের জন্য অপেক্ষা করেন। আজান দেওয়া শুরু হলে পানাহার করেন তারা। এর আগে ভোরে পানাহার করে শুরু হয় রোজা, একে বলা হয় সেহরি।
ইফতারের সময় বেশির ভাগ দেশেই খেঁজুর খাওয়া হয়। এ ছাড়া শরবতসহ আরও অন্যান্য খাবারও থাকে তালিকায়। দেশভেদে এসব খাবারের মধ্যে বৈচিত্রতা দেখা যায়।
এদিকে ঢাকার রিকশা ও রিকশাচিত্রকেও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। বুধবার আফ্রিকার দেশ বতসোয়ানার কাসানে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ বিষয়ক–২০০৩ কনভেনশন চলার সময় এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়।
এর আগে জামদানি বয়ন শিল্প, শীতল পাটি বয়ন শিল্প, বাউল গান ও মঙ্গল শোভাযাত্রাকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল ইউনেস্কো। এবার স্বীকৃতি পেল রিকশা ও রিকশাচিত্র। গত ছয় বছর ধরে এই শিল্পকর্মটির স্বীকৃতি আদায়ের চেষ্টা চলছিল।
সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় জানায়, ২০২২ সালে এই শিল্পকর্মের নথি মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে ও প্যারিসে বাংলাদেশ দূতাবাসের সহযোগিতায় নতুনভাবে প্রস্তুত করা হয়।
এ অর্জনের মাধ্যমে ইউনেস্কোতে বাংলাদেশের ধারাবাহিক সাফল্যের মুকুটে আরও একটি পালক যুক্ত হলো।
শেয়ার করুন