ইফতার, তারাবিহ ও সেহরির সময়ও থাকছে না বিদ্যুৎ

বাংলাদেশ

তীব্র লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে জগন্নাথপুরের মানুষ সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তীব্র লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। ইফতার, তারাবিহ ও সেহরির সময়ও বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তি আরও বেড়েছে।

এছাড়াও বিদ্যুৎ সংকটে বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এতে লোকসানের মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘বিদ্যুৎ এক ঘণ্টা থাকে, আবার এক ঘণ্টা লোডশেডিং চলে। এতে রাতে ঘুমের মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটেছে। সকাল থেকে আবার লোডশেডিং চলছে।

জগন্নাথপুর পৌর এলাকার বাসিন্দা আব্দুল রাজ্জাক বলেন, ‘মাস শেষে আমরা বিদ্যুৎ বিল ঠিকই পরিশোধ করি। কিন্তু বিদ্যুৎ ঠিকমতো পাচ্ছি না। এ ভোগান্তি আর কতদিন পোহাতে হবে?’

স্থানীয় ব্যাটারিচালিত রিকশাচালক মো. ছমির আলী বলেন, ‘আমার আয়ের একমাত্র পথ এই রিকশা। রাতে চার্জ না হওয়ার কারণে দিনের বেলা রিকশা নিয়ে বের হতে পারি না। এভাবে ৬জনের সংসার চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক শারমিন আরা আশা বলেন, প্রচণ্ড গরমে হিটস্ট্রোক, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগবালাইয়ের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে হাসপাতালে রোগীদের সেবায় হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদেরও আমরা রোগীদের পাশে আছি।

এ বিষয়ে জগন্নাথপুর উপজেলায় বিদ্যুৎ বিভাগের আবাসিক প্রকৌশলী আজাদ আলী বলেন, ‘বিদ্যুৎ সরবরাহে ঘাটতির কারণে ঘন ঘন লোডশেডিং দেওয়া হচ্ছে। তবে ঈদের আগেই লোডশেডিং কমে যাবে।

তিনি বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড়ে কিছু এলাকায় ডালপালা ভেঙে পরে। এগুলো অপসারণের জন্যও অনেক সময় লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *