সিলেটের সুধীজনদের সম্মানে বুধবার ইবনেসিনা হাসপাতাল সিলেট লিমিটেড নগরীর একটি অভিজাত কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজন করে মাহে রমজানের তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা ও ইফতার মাহফিল।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ এম সারওয়ার ইসলাম চৌধুরীসহ সিলেটের বিচার বিভাগ, আইন বিভাগ, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা প্রশাসন সিলেট, সিলেট জেলা পুলিশ প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা, বিভিন্ন সরকারী-বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজের শিক্ষকমন্ডলী, সিনিয়র আইনজীবী, সিনিয়র সাংবাদিক, সিলেট প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দের উপস্থিতিতে ইবনেসিনা হাসপাতালের ইফতার মাহফিল সিলেটবাসীর এক মিলন মেলায় পরিণত হয়।
হাসপাতাল ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আলেমে দ্বীন মাওলানা হাবিবুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও হাসপাতালের এজিএম এবং হেড অব ব্যবসা ও উন্নয়ন মোহাম্মদ ওবায়দুল হকের পরিচালনায় উক্ত মাহফিলে আলোচনা পেশ করেন আলেমে দ্বীন মাওলানা শায়েখ আব্দুস সালাম আল-মাদানী ও নগরীর কুদরত উল্লাহ জামে মসজিদের খতিব নুরুজ্জামান আল-মাদানী।সভাপতির বক্তব্যে মাওলানা হাবিবুর রহমান বলেন, সিলেটবাসীর প্রিয় প্রতিষ্ঠান ইবনেসিনা হাসপাতাল। এই হাসপাতালের দাওয়াতে আপনারা শত ব্যস্ততার মধ্যে ইফতার মাহফিলে এসেছেন এ জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। তিনি বলেন, দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠন করতে হলে তাকওয়াবান মানুষ তৈরী করতে হবে, আর তাকওয়াবান মানুষ তৈরী করে মাহে রমজান।
আব্দুস সালাম আল-মাদানী বলেন, রমজান হলো কোরআন নাযিলের মাস, কোরআন বিজয়ের মাস, বদরের মাস, কদরের মাস। কিন্তু কিছু মানুষ কোরআন তেলাওয়াত করে আবার ব্যভিচার করে, নামাজ পড়ে আবার ঘুষ খায়, রোজা রাখে আবার সুদ খায়। আমরা যতদিন পর্যন্ত হারাম পরিত্যাগ করতে না পেরেছি ততদিন পর্যন্ত রোজা শুধু আমাদের জন্য উপবাসই হবে, দুনিয়া আখিরাতের নাযাতের কোন কারণ হবে না। তিনি বলেন, ইবাদত কবুলের প্রথম শর্ত হলো হালাল রুজি। মহান মাবুদ যেন আমাদের হালাল উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেন।
শায়েখ নুরুজ্জামান আল-মাদানী মাহে রমজানকে কোরআন নাযিলের মাস আখ্যা দিয়ে বলেন, এই মাসে মানবতার মুক্তির সনদ মহাগ্রন্থ আল-কোরআন নাযিল হয়েছে, তাই আমাদের জীবনকে কোনআনের পথে পরিচালিত করতে হলে বেশি বেশি করে কোরআন অধ্যায়ন করতে হবে। ইফতার মাহফিলে হাসপাতালের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি