সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, বিশেষ করে ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই এই মুহূর্তে দেখা মিলবে বিশেষ একটি বাক্য লেখা ছবির। অল্প সময়ের মধ্যেই ‘অল আইজ অন রাফাহ’ লেখা ছবিটি কার্যত উঠে এসেছে ট্রেন্ডিংয়ে। বাংলায় এর অর্থ দাঁড়ায়, সবার নজর রাফাহ’র দিকে। কিন্তু হঠাৎ কেন ট্রেন্ডিংয়ে এই বাক্য? এর উৎসই বা কী?
মার্কিন সংবাদমাধ্যম এনবিসি নিউজ এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজায় ইসরাইলের চলমান সহিংসতার দিকে বিশ্বের নজর ফেরানোর আহ্বান জানানো ছবিটি ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে ইনস্টাগ্রামে শেয়ার হয়েছে প্রায় চার কোটি বার। আর সময় যত গড়াচ্ছে, ততই যেন আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ছে পোস্টটি।
শুরুতে ইসরাইলি সেনারা দাবি করেছিল, হামাসের ঘাঁটিতে সফল অভিযান চালানো হয়েছে। যাতে বেশ কয়েকজন হামাস কমান্ডার নিহত হয়েছেন। কিন্তু শরণার্থী শিবিরে হামলার তথ্য সামনে আসতেই নিন্দায় সরব হয় বিশ্ব। আর তারপর থেকেই ট্রেন্ডিংয়ে ‘অল আইজ অন রাফা’।
এনবিসি বলছে, ‘অল আইজ অন রাফাহ’ ছবিটি যখন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে, ঠিক তখন রাফাহ থেকে পোস্ট করা ফিলিস্তিনি সাংবাদিকদের অনেক ভিডিও সীমিত করা হয়েছে এবং কিছু ক্ষেত্রে ইসরাইলি হামলার গ্রাফিক্যাল ছবিকেও ‘ভায়োলেন্স’ কিংবা ‘সংবেদনশীল’ দেখিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।
প্ল্যাটফর্মের নীতি লঙ্ঘন করেছে এমন হিংসাত্মক এবং গ্রাফিক প্রকৃতির কিছু কন্টেন্ট সরিয়ে দিয়েছে সংস্থাটি।
সামাজিক মাধ্যম-বিষয়ক পরামর্শদাতা এবং বিশ্লেষক ম্যাট নাভারা’র মতে,
অনেক প্রভাবশালী এবং সেলিব্রিটি অল আইজ অন রাফাহ পোস্টটি শেয়ার করছেন। শুধুমাত্র ইনস্টাগ্রামে নয়, একাধিক প্ল্যাটফর্মে লাখ লাখ মানুষ এসব সেলিব্রিটিকে ফলো করেন। এর কারণে পোস্টটির রিচ বাড়ছেই।
ছবিটি অবশ্যই এআই দিয়ে তৈরি বলে মনে হচ্ছে।
এছাড়া যে অ্যাকাউন্টটি থেকে প্রাথমিকভাবে ইনস্টাগ্রামে ‘অল আইজ অন রাফাহ’ ছবিটি পোস্ট করা হয়েছিল, তাদের কাছ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তবে যে-ই তৈরি করুক আর যেভাবেই তৈরি হোক; বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে উঠছে, ‘অল আইজ অন রাফাহ’ পোস্টটি তার অন্যতম বড় উদাহরণ।