কোরবানির ঈদের ছুটি শেষে প্রথম কর্মদিবসে দুই বছর আগের সূচিতে ফিরল দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান।
সরকারি অফিসের সঙ্গে মিল রেখে বুধবার থেকে ব্যাংকে লেনদেনের সময়ও বদলে গেছে।
এখন থেকে আগের নিয়ম মেনে ব্যাংকে লেনদেন শুরু হচ্ছে সকাল ১০টায়, যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। তবে ব্যাংক খোলা থাকবে ৬টা পর্যন্ত। বাণিজ্যিক ব্যাংকের মত বাংলাদেশ ব্যাংকও এই সময় মেনে চলবে। সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে শুক্রবার ও শনিবার।
সোমবার ছিল কোরবানির ঈদ। রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ছিল ঈদের সরকারি ছুটি। এর আগে শুক্র ও শনিবার গেছে সাপ্তাহিক ছুটি। সব মিলিয়ে পাঁচ দিনের ছুটি গেছে ব্যাংক পাড়ায়।
ছুটি শেষে পুঁজিবাজারেও লেনদেন শুরু হয়েছে বুধবার। প্রথম দিন ব্যাংকগুলোতে গ্রাহক ও ব্যাংকারদের উপস্থিতি দেখা গেছে তুলনামূলক কম।
ঈদ ছুটির সঙ্গে অতিরিক্ত ছুটি নেওয়ায় ঢাকার বাইরে ঈদ করতে যাওয়া আনেককেই ফিরে আসেননি।
কাজে ফেরা ব্যাংক কর্মীরা প্রথম দিন সহকর্মী ও পরিচিত গ্রাহকদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। গ্রাহক উপস্থিতি কম থাকায় ব্যাংক পাড়ায় বুধবার ছিল ঈদের আমেজ।
কর্মচারীদের একটি অংশ ছুটিতে থাকলেও ব্যাংকিং সেবায় ‘কোনো সমস্যা হচ্ছে না’ বলে জানালেন সোনালী ব্যাংকের বঙ্গবন্ধু এভিনিউ কর্পোরেট শাখার ব্যবস্থাপক আব্দুল কুদ্দুস।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, “কিছু ছুটিতে গেলেও ৭০ শতাংশের বেশি কর্মচারীই অফিস করছেন। কাজে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ব্যাংক খোলার এক ঘণ্টা পর একজন গ্রাহক এসেছেন টাকা জমা দিতে। আমাদের সবগুলো কাউন্টারই খোলা আছে। গ্রাহক যারা আসছেন, সেবা নিতে পারছেন, কাজে সমস্যা হচ্ছে না।’’
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ জানিয়েছে, পুঁজিবাজারে লেনদেন আগের নিয়মমেনেই চলবে।
লেনদেন সকাল ১০টায় শুরু হয়ে চলবে বেলা ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। এরপর ১০ মিনিট হবে পোস্ট ক্লোজিং। দাপ্তরিক সময় হবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত।
এতদিন ব্যাংকে লেনদেন চলেছে সকাল ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত এবং অফিসের সময় ছিল বিকেল ৫টা পর্যন্ত। জ্বালানি সংকটের সময় বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে সরকার সময়সূচিতে এই পরিবর্তন এনেছিল।
চলতি মাসের শুরুতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিসসূচি আগের সময়ে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত জানায় সরকার। সেই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন শুরু হল বুধবার। এর সঙ্গে মিল রেখে ব্যাংকও আগের সূচিতে ফিরল।