শেখ রাসেল
বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধি
সুন্দরবনের প্রাণ পশুর নদসহ উপকূলের নদ-নদী দখল ও দূষণে আক্রান্ত। সুন্দরবনের নদী-খালে বিষ প্রয়োগে মৎস্য নিধন করা হচ্ছে। এতে একদিকে যেমন নদীর স্বাস্থ্যহানী ঘটছে অন্যদিকে সুন্দরবনের জীববৈচিত্র হুমকিতে পড়েছে। মোংলায় শতাধিক প্রবাহমান সরকারি নদী খালে অবৈধ বাঁধ দিয়ে নদী-খাল মেরে ফেলা হয়েছে। পশুর, রুপসা ও মোংলা নদীতে প্লাস্টিক দূষণের ফলে মাছের দেহে মাইক্রো প্লাস্টিকের কণা পাওয়া গেছে। এসব মাছ খেলে মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হবে। সুন্দরবনের ইসিএ এলাকায় অপরিকল্পিত শিল্পায়নে নদী দূষণ হচ্ছে। নদী একটি জীবন্ত সত্তা আসুন আমরা নদীর অধিকার অধিকার নিশ্চিত করি। ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার মোংলায় বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসুচি পালনকালে বক্তারা এসব কথা বলেন। কর্মসুচির মধ্যে ছিলো পশুর নদ প্রতীকী পরিচ্ছন্নতা অভিযান, পশুর নদীতে গণগোসল, নদী কেন্দ্রিক গানের আসর এবং দিনরাত নদীর সাথে আড্ডা, নদীতে আলোচনা সভা-মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসুচি। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, বাদাবন সংঘ, পিএফজি মোংলা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এসব কর্মসুচি পালিত হয়।
রবিবার দিনব্যাপী বিশ্ব নদী দিবসের নানা কর্মসুচিতে সভপতিত্ব ও প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ। কর্মসুচিতে বক্তব্য রাখেন বাপা নেতা সৈয়দ মিজানুর রহমান, নাজমুল হক, কমলা সরকার, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ’র হাছিব সরদার, পিএফজি’র শেখ শাকির হোসেন, পিএফজি নেতা এরশাদুজ্জামান সেলিম, বাদাবন সংঘের পপি বেগম ও হোসনে আরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার শেখ রাসেল, মেহেদী হাসান বাবু, ছবি হাজরা, সুষ্মিতা মন্ডল, তন্বী মন্ডল প্রমূখ। সভাপতি ও প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বাপা’র কেন্দ্রিয় যুগ্ম সম্পাদক মোঃ নূর আলম শেখ বলেন জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন গোলের নদী-খাল-জলাশয় ও পরিবেশ বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে ধীরগতি লক্ষ্য করছি। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ি ২০২০ সালের মধ্যে নদ-নদী-জলাশয় দখল ও দূষণমুক্ত করা কথা বলা হলেও তা এখনো অর্জিত হয়নি। নদী তীরবর্তী জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দেয়ার কথা টেকসই উন্নয়নে গোলে বলা হলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছেনা। টেকসই উন্নয়নে ১৩ নম্বর গোলের লক্ষ্যমাত্রায় বলা হয়েছে উপকূলের নদ-নদী ও জলাশয়কে দখল এবং দূষণমুক্ত করার মাধ্যমে সামুদ্রিক সম্পদের সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মোঃ নূর আলম শেখ আরো বলেন নদী বিষয়ক হাইকোর্টের নির্দেশনা বাস্তবায়নে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। নদীর অভিভাবক নদী কমিশনকে শক্তিশালী করতে হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নদী রক্ষা কমিটিকে সক্রিয় করা জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।