স্টাফ রিপোর্টার : নগরীর উপশহরে ডাকাত সন্দেহে জনতার হাতে আটক বোরকা পড়া যুবককে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। সোমবার ঐ যুবকের শশুরবাড়ীর লোকজন শাহপরান থানায় গিয়ে তাকে চিহ্নিত করেন এবং ভুল বোঝাবুঝির কারণে এমন ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান। এখানে চুরি ডাকাতির কোন ঘটনা ঘটেনি বলেও জানান তারা। জামাই বোরকা পড়ে শশুরবাড়ীতে সারপ্রাইজ দিতে এসেই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে স্থানীয় কাউন্সিলার সালেহ আহমদ সেলিম জানিয়েছেন, প্রভাবশালীদের চাপে হয়তো একটি নাটক সাজানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ঐ বাসার মালিক ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার করার কারণে আশপাশের মানুষ জড়ো হন এবং বোরকা পড়া চোরকে গণধোলাই দেন। এমনকি এসময় আরো ৪জন লোক আহত হন। এখন বলা হচ্ছে মজা হিসেবেই এসব করা হয়েছে। এমনটি হলে আরেক দিন কেউ যদি বাসায় এভাবে ডাকাত এসেছে বলে চিৎকার করে তাহলে মজা ভেবে আশপাশের লোকজন এগিয়ে নাও আসতে পারে।
এসএমপির শাহপরান থানার ওসি সৈয়দ আনিসুর রহমান দৈনিক জালালাবাদকে বলেন, পুলিশ শুরু থেকে ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করে আসছে। চোর সন্দেহে লোকটিকে পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করে। সোমবার দুই পরিবারের লোকজন থানায় এসে এই মর্মে লিখিত দিয়েছেন যে একটু ভুল বুঝাবুঝি ও খামখেয়ালীপনা থেকে এমন একটি পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা না করে আমরা নিজেরা মিটমাট করে দেবো। এই লিখিত দেয়ার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়।
এর আগে রোববার বিকেলে নগরীর উপশহর এলাকার জে ব্লকের একটি বাসায় বোরকা পড়ে ঐ যুবক প্রবেশের চেষ্টা করলে স্থানীয় জনতা ডাকাত সন্দেহে তাকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পুলিশ গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি। ঐ যুবকের নাম নাছির আহমদ (৩৬)। সে জকিগঞ্জ উপজেলার আব্দুল হান্নানের পুত্র।
শেয়ার করুন