ঋণের জন্য এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকমুখী সরকার; মুদ্রাস্ফীতির ঝুঁকি বাড়বে, শঙ্কা অর্থনীতিবিদদের

জাতীয়

বাণিজ্যিক ব্যাংকের বদলে এখন বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অর্থ নিচ্ছে সরকার। গত সেপ্টেম্বর মাসে নেয়া হয়েছে সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা। রাজস্ব আয় এবং সঞ্চয়পত্র থেকে অর্থের যোগান কমেছে। তাই বাজেট বাস্তবায়নে নানা উৎস থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে সরকার। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নিয়ন্ত্রক এই সংস্থা থেকে ঋণ নেয়ায় আর্থিক খাতে ভারসাম্যহীনতা তৈরি হতে পারে।

খরচ কমাতে এখন অতি গুরুত্বপূর্ণ না হলে নতুন করে কোনো উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিচ্ছে না সরকার। অর্থায়ন ব্যবস্থাপনায় এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে সরকার। চাহিদার মেটাতে এখন ব্যাংক নির্ভরতা বাড়ছে। তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দিকে ঝুঁকেছে সরকার। তবে এক্ষেত্রেও ঝুঁকি আছে।

বর্তমান অবস্থাকে ‘অস্বস্তিকর’ উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, এখন যে পরিস্থিতি, তাতে মনে হচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই সরকারকে লোন নিতে হবে। কারণ ডিপোজিট গ্রোথ না থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ঋণ দেবে কোথা থেকে? তাই সবমিলিয়ে পরিস্থিতি এখন বেশ অস্বস্তিকর।

চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ লক্ষ্য ধরা হয় এক লাখ কোটি টাকার বেশি। প্রশ্ন হচ্ছে অর্থায়ন নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া কতোটা টেকশই উপায়? এ নিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এভাবে ঋণ নিলে অর্থ উৎপাদনে প্রভাব পড়বে। মূল্যস্ফীতিকে আরও উসকে দেয়ার ভয়ও থাকে। তাই সাধারণত আমরা চাই না কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মনিটাইজেশন হোক।

এদিকে, বাংলাদেশকে বড় অংকের ঋণ সহায়তা দিতে চলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল আইএমএফ। তখন অর্থের সংকট কিছুটা হলেও কেটে যাবে বলে আশাবাদী পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তিনি বলেন, ভর্তুকি বেড়ে গেছে, এখন ঋণ তো নিতেই হবে।  আমাদের ঋণ নেয়ার হারও কমেছে। সঞ্চয়পত্র বিক্রি অনেক কমে গেছে। গত বছর বিক্রি হয়েছে ৫ হাজার কোটি টাকা। এ বছর মাত্র ৪০০ কোটি টাকার সঞ্চয়পত্র বিক্রি হয়েছে। তাই এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকেই ঋণ নিতে হচ্ছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *