চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল আক্টোবর মাসের মাঝামাঝি প্রকাশ করা হতে পারে। ইতোমধ্যে ফল তৈরির একটি প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এটি চূড়ান্ত হওয়ার পর ফল প্রকাশের তারিখ চূড়ান্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) আন্তঃশিক্ষা সমন্বয় বোর্ড সাব কমিটির একাধিক সদস্য দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
জানা গেছে, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে তৈরি করা হবে, তার একটি প্রস্তাবনা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সরকারি মাধ্যমিক শাখা থেকে অনুমোদন করে সচিবের দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরে তা শিক্ষা উপদেষ্টার কাছে পাঠানো হয়। উপদেষ্টা অনুমোদন দিলে তা চূড়ান্ত করা হবে। আর অনুমোদন না পেলে নতুন করে প্রস্তাব পাঠাতে হবে বোর্ডগুলোকে।
এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার বলেন, ‘পরীক্ষার ফলাফল কীভাবে তৈরি করা হবে তার প্রস্তাবনা এখনও অনুমোদন হয়ে আসেনি। এটি অনুমোদন হয়ে গেলে দ্রুত ফল প্রকাশ করা হবে। কবে নাগাদ ফল প্রকাশ করা হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আশা করছি অক্টোবরের মাঝামাঝি ফল প্রকাশ করতে পারবো।
গত ৩০ জুন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। প্রথম দফায় প্রকাশিত রুটিন অনুযায়ী ৮ দিন পরীক্ষা হওয়ার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ১৮ জুলাইয়ের সব পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। এরপর তিন দফায় পরীক্ষা স্থগিত করে সরকার।
সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় গত ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভবনের নিচে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তী সময়ে এসব পরীক্ষা বাতিল করা হয়।
এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছিল জুন মাসের ৩০ তারিখে। ১৬ জুলাই পর্যন্ত পরীক্ষা ঠিকঠাকভাবেই সম্পন্ন হয়। কিন্তু কোটা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে ১৮ জুলাইয়ের পরীক্ষা এবং পরে ২১, ২৩ ও ২৫ জুলাইয়ের পরীক্ষা স্থগিত হয়। এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয় শেখ হাসিনা সরকার।
সামগ্রিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে বাকি পরীক্ষাগুলোর তারিখ বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়। সবশেষ নতুন তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ১১ আগস্ট। এর মধ্যে পরীক্ষার্থীরা স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। ২০ আগস্ট সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে অবরুদ্ধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। পরবর্তীতে এসব পরীক্ষা বাতিল করতে বাধ্য হয় শিক্ষা প্রশাসন।
চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষায় ৯টি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, কারিগরি বোর্ড ও মাদরাসা বোর্ডের অধীনে মোট ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন অংশগ্রহণ করেন।
শেয়ার করুন